নিজস্ব প্রতিবেদক:
বিদেশ থেকে জাল ব্যান্ডরোল আমদানি বাজারে ছাড়ছে জালিয়াত চক্র। আর ব্যান্ডরোল প্রতারণা ও জালিয়াতির কারণে প্রতি বছরই শত শত কোটি টাকা রাজস্ব হারাচ্ছে সরকার। চট্টগ্রাম কাস্টমস সম্প্রতি আড়াইশ কোটি টাকা সমমূল্যের জাল ব্যান্ডরোলের দুটি চালান জব্দ করেছে। মূলত প্রতারণার মাধ্যমে ব্যান্ডরোল একাধিকবার ব্যবহার ও বিদেশ থেকে জাল ব্যান্ডরোল আমদানি করে প্রতারক ও জালিয়াত চক্র বাজারে ছাড়ছে। এই অপকর্মের সাথে একাধিক প্রভাবশালী ব্যক্তির সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের গ্রেফতারের আওতায় আনার চেষ্টা চালাচ্ছে। কাস্টমস বিভাগ সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিদেশ থেকে জাল ব্যান্ডরোল আমদানির সময় কাগজ আমদানির মিথ্যা ঘোষণা দেয়া হয়। সম্প্রতি চীনের শেনঝেন থেকে জাল ব্যান্ডরোলের দুটি চালান দেশে আসে। পরীক্ষার সময় শুল্ক কর্মকর্তারা কাগজের ভেতরে বিপুল পরিমাণ সিগারেট ট্যাক্স স্ট্যাম্প লুকানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তা জব্দ করা হয়। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের পোর্ট কন্ট্রোল ইউনিট (পিসিইউ) রপ্তানি ও আমদানিকারকের নথি ও ট্রেডিং তথ্য যাছাই করে ওই চালানের জালিয়াতির সব তথ্য চিহ্নিত করে।
সূত্র জানায়, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এসআর অনুযায়ী ব্যান্ডরোল দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ থেকে সংগ্রহ করতে হয়। কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট কমিশনার কর্তৃক দ্য সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ ও সিগারেটর উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধির সমন্বয়ে গঠিত কমিটি প্রতি ৩ মাস অন্তর প্রতিষ্ঠানভিত্তিক সিগারেটের ব্যান্ডরোল সরবরাহ ও ব্যবহার যাচাই করে। সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন বাংলাদেশ ছাড়া অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের ব্যান্ডরোল কেনা বা আমদানির সুযোগ নেই।
আরও পড়ুন
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে তৎপর হচ্ছে আন্ডারওয়ার্ল্ড
চৈত্রঘাট এলাকায় ধলাই নদীর সেতুতে ধ্বস
ডেঙ্গুতে ১৫ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে নতুন ভর্তি ২৯৫০