জেলা প্রতিনিধি, সিলেট:
চলতি বছর আমন মৌসুমের শুরুতে অনাবৃষ্টি ও খরায় ভাটা পড়েছিল চাষাবাদে। তবে কয়েক দিন থেকে রাতের বৃষ্টিতে স্বস্তি ফিরেছে কৃষকের মাঝে। রোপণ শেষে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন বিয়ানীবাজারের কৃষকেরা।
উপজেলার মুড়িয়া হাওর, লাসাইতলা হাওর, চারখাই, দুবাগ, লাউতা, তিলপাড়াসহ বেশ কিছু এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, চাষিরা দিনের প্রখর রোদ উপেক্ষা করে খেতে পরিচর্যা করছেন। তবে রাতের বৃষ্টি তাদের কিছুটা হলেও স্বস্তি দিচ্ছে।
স্থানীয় কৃষক ফরিদ, বাদল, আব্দুর রহমানসহ কয়েকজন বলেন, চাষাবাদের শুরুতে বৃষ্টি না থাকায় সেচের পানিতে বেশির ভাগ জমি রোপণ করতে হয়। পরে রাতের বৃষ্টিতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। পরিচর্যায় মনোযোগ দিচ্ছেন তাঁরা। বৃষ্টিতে খেতগুলো ভালো দেখাচ্ছে। বাজারে ধানের দাম কম থাকায় কৃষকের মাঝে কিছুটা ভয় থাকলেও ভালো ফলনে লাভের আশায় স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা।
চাষি হারুনুর রশিদ বলেন, ‘গত মৌসুমে দাম ও ফলন বেশ ভালো পাওয়ায় এবারও চাষাবাদ করি। চলতি মৌসুমে সার-কীটনাশকসহ বিভিন্ন খরচ বেড়েছে। তবে আগামীতে বৃষ্টি না হলে খরচ আরও বেড়ে যাবে।
উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, চাষিরা পরিচর্যায় ব্যস্ত। চলতি মৌসুমে উপকারভোগী কৃষকের মাঝে সরকারিভাবে উচ্চফলনশীল (উফশী) বীজ ও সার দেওয়া হয়।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান হেকিম বলেন, ‘প্রাকৃতিক বৃষ্টিপাতের মাধ্যমে এ মৌসুমে পর্যাপ্ত পানি পাওয়া যায়। তাই এ মৌসুমে সেচের খরচ কম হয়। তবে চলতি মৌসুমে দীর্ঘদিন বৃষ্টি না হওয়ায় চাষাবাদে দেরি হয়েছে। গত কয়েকদিন থেকে রাতের বৃষ্টিপাতে চাষিদের মধ্যে স্বস্তি ফিরেছে। পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন তাঁরা। আশা করি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে।
আরও পড়ুন
১০২০ যাত্রী নিয়ে কক্সবাজার থেকে ঢাকায় ছুটল প্রথম ট্রেন
বগুড়ার শিবগঞ্জে সড়ক দুর্ঘটনায় কাভার্ডভ্যান চালক নিহত
নোয়াখালীতে সিএনজি ও ট্রাক সংঘর্ষে মা-মেয়ের মৃত্যু