একুশে পদকপ্রাপ্ত বিশিষ্ট অভিনেতা ও নাট্যকার ড. ইনামুল হক মারা গেছেন। সোমবার রাজধানীর বেইলি রোডের বাসায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
বাংলাদেশ অ্যাক্টর ইক্যুইটির সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবিব জানিয়েছেন, ইনামুল হকের পালস না পাওয়ায় তাঁকে রাজধানীর কাকরাইলের ইসলামী হাসপাতালে নেয়া হয় এবং সেখানের চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
গুণী এই অভিনেতার হঠাৎ চলে যাওয়ায় দেশের সাংস্কৃতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
১৯৪৩ সালের ২৯ মে ফেনীর একটি অভিজাত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন ইনামুল হক। তিনি ১৯৬৩ ও ১৯৬৪ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।
পরে ১৯৬৫ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) রসায়ন বিভাগের প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং ১৯৭০ সালে সহকারী অধ্যাপক হন। পরে ১৯৭৯ ও ১৯৮৭ সালে তিনি যথাক্রমে সহযোগী অধ্যাপক ও অধ্যাপক হন।
এছাড়া একই বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে তিনি ১৫ বছর এবং প্রকৌশল অনুষদের ডিন হিসেবে দুই বছর দায়িত্ব পালন করেন।
মোস্তফা মনোয়ারের ‘মুখরা রমণী বশীকরণ’ এর মাধ্যমে ১৯৬৮ সালে সাংস্কৃতিক অঙ্গনে পা রাখেন এই গুণী অভিনেতা। এছাড়া ‘সেইসব দিনগুলি’, ‘নির্জন সৈকত’, ‘কে বা আপন কে বা পর’সহ প্রায় ৬০টি টেলিভেশন নাটক লিখেছেন ইনামুল হক।
পাকিস্তানি সরকারের বিরুদ্ধে বিশেষ করে ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান ও ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানে নাটক মঞ্চায়িত ও অংশগ্রহণ করেন তিনি।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী লাকি ইনাম; দুই মেয়ে হৃদি হক ও প্রৈতি হককে রেখে গেছেন।
–ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
ইউটিউব থেকে সরানো হলো শাকিবের ‘তুফান’