October 14, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, June 23rd, 2022, 8:57 pm

বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাই বিশ্ববিদ্যালয়ের এম্বাসেডর: কুবি উপাচার্য

কুবি প্রতিনিধি:

“তোমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, তোমরাই এর এম্বাসেডর। পড়াশোনা শেষ করে বের হয়ে গেলেও এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নতির জন্য তোমরা কাজ করবে। ভবিষ্যতে তোমরা আইন জগতের ভালো জায়গায় পৌঁছাবে, সেখানে ন্যায় বিচার নিশ্চিতে কাজ করতে হবে৷ সর্বোপরি ভালো নাগরিক হতে হবে।”

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের আয়োজনে অনুষ্ঠিত “তপন বিহারী নাগ ট্রাস্ট এর বৃত্তি প্রদান ও বিদায় অনুষ্ঠান-২০২২” এর প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন।

তিনি আরও বলেন, আমাদের বাজেট অপ্রতুল। তারপরও সম্প্রতি বিভিন্ন বিভাগের ৫৭ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আমাদের যেখানে যতটুকু বাজেট আছে আমরা সেখানে সর্বোচ্চ সহযোগিতা দিতে চাই। ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ে এই খাতে বাজেটও বৃদ্ধির চেষ্টা করবো। আর আজকে যিনি এই ট্রাস্টের মাধ্যমে বৃত্তির ব্যবস্থা করেছেন, তার মতো আরও অনেকেই এগিয়ে আসবেন প্রত্যাশা করি।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) বেলা ১টায় বিজ্ঞান অনুষদ ভবনের হল রুমে এই আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে বিভাগকে বিভিন্ন অঙ্গনে প্রতিনিধিত্বকারী কৃতী ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের বৃত্তির পাশাপাশি স্মারক ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো: আসাদুজ্জামান, প্রক্টর কাজী ওমর সিদ্দিকী রানা, আইন বিভাগের ডিন অধ্যাপক ড. শামীমুল ইসলাম। সম্মানিত অতিথি হিসাবে ছিলেন কুমিল্লা জেলা সরকারী কৌশুলী (জি.পি.) তপন বিহারী নাগ, ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কেশব রায় চৌধুরী।

সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে কুমিল্লা জেলা সরকারী কৌশুলী (জি.পি.) তপন বিহারী নাগ বলেন, আপনারা যারা পড়াশোনা করছেন তাদের অনুরোধ করি অন্তত পাঁচ বছর জনকল্যাণমুখী কাজ করুন। প্রথমেই বাড়ি-গাড়ির পেছনে ছোটার দরকার নেই। একটা কথা আমি শিখেছি পরিবার থেকে যে, সমাজকে কিছু দিলে সমাজও আপনাকে কিছু দিবে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।

অপর অতিথি ঢাকা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কেশব রায় চৌধুরী শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তাঁর বক্তব্যে বলেন, কর্মজীবনের শুরুতে তোমাদের মতোই আমি চিন্তা করতাম কীভাবে শুরু করবো। তারপরও শুরু করেছি এবং এখন জাজ হিসেবে আছি। তোমরা কিছু দারুন শিক্ষক পেয়েছো যারা তোমাদের মতো করেই তোমাদের কাছে থেকে পড়াতে পারছে। যার ফলাফল হিসেবে তোমাদের ১ম ব্যাচের অনেক শিক্ষার্থীই বিভিন্ন কর্মক্ষেত্রে সুযোগ পেয়ে গিয়েছে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন আইন বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মোঃ আবু বকর ছিদ্দিক, প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক রোকসানা আকতার, সহকারী অধ্যাপক মু. আবু বকর সিদ্দিক, বিভাগের ছাত্র উপদেষ্টা সহকারী অধ্যাপক মু. আলী মুর্শেদ কাজেম, সহকারী অধ্যাপক সাঈদা তালুকদার রাহীসহ বিভাগটির শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।