October 6, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, September 30th, 2022, 5:18 pm

বিয়ানীবাজারে যে কারণে থমকে আছে মডেল মসজিদ নির্মাণ

জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :

দেশের অন্যান্য উপজেলায় মডেল মসজিদ নির্মাণ কাজ শেষ হলেও সিলেটের বিয়ানীবাজারে তা শুরু করাই সম্ভব হয়নি। ভূমি জঠিলতার কারণে বিয়ানীবাজারে এই প্রকল্প আলোর মুখ দেখবে কিনা তা নিয়েও সন্দিহান উপজেলার মানুষ। এই প্রকল্পের কাজ শুরু করতে উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় অন্তত: ৬টি স্থান প্রস্তাব করা হলেও নানা জঠিলতায় তা থমকে যায়।
সূত্র জানায়, উপজেলা কমপ্লেক্স এলাকায় মডেল মসজিদ নির্মাণ করার প্রস্তাব করে উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর প্রেরণ করা হয়েছে। এক্ষেত্রে উপজেলা কমপ্লেক্সের অভ্যন্তরে থাকা প্রাচীন মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলা হবে। বিয়ানীবাজার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আশিক নূর জানান, প্রায় ২ মাস পূর্বে নতুন স্থানে মডেল মসজিদ নির্মাণের প্রস্থাব দিয়ে অনুমোদন চাওয়া হয়েছে। তবে এখনো পর্যন্ত কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। আমাদের প্রস্থাবিত স্থানে মসজিদ নির্মানের অনুমোদন পাওয়া গেলে পুরাতন মসজিদটি ভেঙ্গে ফেলা হবে।বিয়ানীবাজারে মডেল মসজিদ নির্মানের জন্য প্রথমে পৌরশহরের খাসা, বৈরাগীবাজারসহ অন্তত: ৬টি পৃথক স্থান নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু সবখানেই জমি নিয়ে জঠিলতা থাকায় সব উদ্যোগ ভেস্থে যায়।
অপর একটি সূত্র জানায়, ভূমি অধিগ্রহণে জটিলতায় মসজিদের জন্য জায়গা বুঝিয়ে দিতে না পারা এবং নির্মাণসামগ্রীর দাম বাড়ার কারণে ঠিকাদাররা কাজ করতে না চাওয়ায় ৭৬টি মসজিদের জন্য নতুন করে দরপত্র আহ্বান করতে হচ্ছে। ফলে দুই দফা সময় বাড়িয়েও প্রকল্পের কাজ যথাসময়ে বাস্তবায়ন করা অসম্ভব হয়ে পড়েছে। তবে গত বছরের জুনে ৫০টি মডেল মসজিদ উদ্বোধন করা হয়েছে। আরও ১০০টি মসজিদ হস্তান্তরের অপেক্ষায়। আগামী ডিসেম্বরের মধ্যে আরও ৫০টির কাজ শেষ হয়ে যাবে বলে প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
২০১৭ সালে সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সেন্টার নির্মাণ প্রকল্প হাতে নেয় বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন। পুরনো রেট শিডিউলে এ প্রকল্পের প্রাক্কলন তৈরি ও অনুমোদন করায় প্রকল্প হাতে নেওয়ার সময় এর অনুমিত খরচ ছিল ৯ হাজার ৬২ কোটি ৪১ লাখ টাকা। এর ৯০ শতাংশ অনুদান হিসেবে সৌদি আরব থেকে আসার কথা ছিল। তবে এক বছরেরও বেশি সময় অপেক্ষা করার পরেও বৈদেশিক সহায়তা না পাওয়ায় প্রকল্পটির কাজ শুরু করা যায়নি। পরে নিজস্ব তহবিলের মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
২০১৮ সালের ২৬ জুন প্রকল্পের খরচ ৩৪০ কোটি টাকা কমিয়ে আট হাজার ৭২২ কোটি করা হয় এবং বাস্তবায়নের সময়সীমা ২০১৯ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০২১ সালের জুন পর্যন্ত ধরা হয়। গত বছরের ডিসেম্বরে প্রকল্পটির খরচ ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ বাড়ানো হয়। এতে মোট খরচ ধরা হয় ৯ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা। একই সঙ্গে প্রকল্পটির নতুন মেয়াদকাল ধরা হয় ২০২৪ সালের জুন পর্যন্ত। কিন্তু এই মেয়াদকালেও প্রকল্পটি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে না বলে জানিয়েছেন প্রকল্প পরিচালক ও গণপূর্ত অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. নজিবুর রহমান।