December 6, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, December 13th, 2023, 8:21 pm

বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জের মধ্যেও উন্নয়নশীল এশিয়ায় বলিষ্ঠ প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস এডিবির

এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) দক্ষিণ এশিয়ার জন্য ২০২৩ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৫.৭ শতাংশে উন্নীত করেছে। পাশাপাশি বলেছে, ভারতের অর্থনৈতিক পারফরম্যান্স প্রত্যাশার চেয়ে শক্তিশালী। ২০২৪ সালের পূর্বাভাস ৬ শতাংশে স্থিতিশীল রয়েছে। বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ সত্ত্বেও উন্নয়নশীল এশিয়ার অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি আশাব্যঞ্জক বলেও উল্লেখ করা হয়।

বাংলাদেশ ও মালদ্বীপের পূর্বাভাসে নিম্নমুখী পরিবর্তন সত্ত্বেও ২০২৪ সালের জন্য দক্ষিণ এশিয়া উপঅঞ্চলের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৬ শতাংশে বজায় রাখা হয়েছে। উপঅঞ্চলের অন্যান্য অর্থনীতির জন্য ২০২৪ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস অপরিবর্তিত রয়েছে।

উন্নয়নশীল এশিয়ার জন্য ২০২৩ সালের প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৪ দশমিক ৯ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে, যা ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরের এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট আউটলুকের পূর্বে অনুমান করা ৪ দশমিক ৭ শতাংশ থেকে বৃদ্ধি পেয়েছে। এই সংশোধনের জন্য শক্তিশালী অভ্যন্তরীণ চাহিদাকে দায়ী করা হয়। যা ২০২৪ সালের জন্য প্রবৃদ্ধির পূর্বাভাস ৪ দশমিক ৮ শতাংশের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

উন্নয়নশীল এশিয়ায় মুদ্রাস্ফীতি হ্রাস পাবে বলে আশা করা হচ্ছে, যা আগের বছরের ৪ দশমিক ৪ শতাংশ থেকে এই বছর সামঞ্জস্যযুক্ত ৩ দশমিক ৫ শতাংশে নেমে এসেছে। যা ২০২৪ সালে ৩ দশমিক ৬ শতাংশে সামান্য বৃদ্ধি পাবে বলে অনুমান করা হচ্ছে।

এডিবির প্রধান অর্থনীতিবিদ অ্যালবার্ট পার্ক বলেন, ‘চ্যালেঞ্জিং বৈশ্বিক পরিবেশ সত্ত্বেও, উন্নয়নশীল এশিয়া শক্তিশালী প্রবৃদ্ধি প্রদর্শন করে চলেছে। অঞ্চলটি ধীরে ধীরে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে আনছে। যাইহোক, উচ্চ বৈশ্বিক সুদের হার থেকে শুরু করে এল নিনোর মতো জলবায়ু-সম্পর্কিত ইভেন্ট পর্যন্ত ঝুঁকি অব্যাহত রয়েছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সরকারগুলোর জন্য সতর্ক থাকা এবং তাদের অর্থনীতি স্থিতিশীল এবং প্রবৃদ্ধি টেকসই তা নিশ্চিত করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’

সম্ভাব্য নেতিবাচক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে উন্নত অর্থনীতিতে দীর্ঘায়িত উচ্চ সুদের হার, সম্ভবত আর্থিক অস্থিতিশীলতার দিকে পরিচালিত করে। এডিবি সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, এল নিনো এবং ইউক্রেনে চলমান রুশ আগ্রাসনের মতো ঘটনা থেকে সরবরাহ ব্যাহত হলে জ্বালানি ও খাদ্য নিরাপত্তায় নতুন করে চ্যালেঞ্জ সৃষ্টি হতে পারে, যা মুদ্রাস্ফীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে পারে।

—-ইউএনবি