October 13, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, December 1st, 2021, 9:22 pm

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এক প্রার্থী একাই পেয়েছেন সব ভোট, বাকি ৬ প্রার্থী শূন্য!

জেলা প্রতিনিধি:

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার একটি ইউনিয়নে সাধারণ সদস্য পদে ভোটের ফলাফল নিয়ে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে। ওই ইউনিয়নে ৪নং ওয়ার্ডে এক সাধারণ সদস্য প্রার্থী সব ভোট পেয়েছেন। নির্বাচনে অংশগ্রহণ করা অন্য ৬ প্রার্থী নিজের ভোটটিও পাননি। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২৮ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাঞ্ছারামপুর উপজেলার মানিকপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে সাতজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এরা হলেন- কাউসার মিয়া (ভ্যানগাড়ি), মোতালিব মিয়া (ঘুড়ি), মো. আলমগীর (আপেল), জাহাঙ্গীর হোসেন (তালা), মিস্টার আলী (ফুটবল), সফিকুল ইসলাম (মোরগ) ও হাসান মিয়া (বৈদ্যুতিক পাখা)। ৪ নম্বর ওয়ার্ডে একমাত্র ভোটকেন্দ্র মায়ারামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এই ভোটকেন্দ্রের মোট ভোটার সংখ্যা দুই হাজার ১৬৩। এ কেন্দ্রে ভোট দিয়েছেন এক হাজার ১৬১ জন ভোটার। এর মধ্যে বৈধ ভোট দেখানো হয়েছে এক হাজার ১৫৫টি। আর বাতিলকৃত ভোট সংখ্যা ছয়টি। তবে বৈধ এক হাজার ১৫৫টি ভোটের সবকটিই হাসান মিয়া ওরফে কাজী সালাউদ্দিনের বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীকে পড়েছে বলে প্রিসাইডিং অফিসার স্বাক্ষরিত ফলাফল শিটে উল্লেখ করা হয়েছে। ভোট না পাওয়া ছয় প্রার্থীর মধ্যে মুঠোফোনে দুইজনের বক্তব্য পাওয়া যায়। বাকি চার প্রার্থীকে একাধিকবার কল করা হলেও তারা রিসিভ করেননি। সাধারণ সদস্য পদে মোরগ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী সফিকুল ইসলাম জানান, আমি ও আমার পরিবারের সদস্যরা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়েছি। আমি আমার ভোটটি নিজের প্রতীকেই দিয়েছি। কিন্তু তারপরও প্রাপ্ত ভোটের ফলাফলে শূন্য উল্লেখ করা হয়েছে। আরেক সাধারণ সদস্য প্রার্থী জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, ভোটের দুইদিন আগে স্থানীয় নেতারা এসে এক প্রার্থীকে সিলেক্ট করার কথা জানিয়ে তাকে নির্বাচন থেকে সরে যেতে বলেন। সেজন্য ক্ষোভে তিনি কেন্দ্রে যাননি। নির্বাচনে বিজয়ী হওয়া প্রার্থী হাসান মিয়া ওরফে কাজী সালাউদ্দিন বলেন, অন্য প্রার্থীরা আমাকে সমর্থক দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। গ্রামবাসীও আমাকে সমর্থন দিয়েছেন। তাই আমি এত ভোট পেয়েছি। ওই ভোটকেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসারের দায়িত্বে থাকা হুসাইন মোহাম্মদ বেলাল বলেন, ভোটের আগেরদিন শুনেছি সদস্য পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থীদের মধ্যে একজনকে সমর্থন দিয়ে অন্য প্রার্থীরা সরে দাঁড়িয়েছেন। আমার কেন্দ্রে ভোটগ্রহণে কোনো ধরনের সমস্য হয়নি। আমার কাছে কেউ কোনো অভিযোগও করেনি।