November 6, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, February 4th, 2024, 8:50 pm

ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের দুই লাখ বাড়ি হস্তান্তর করবে তুরস্ক

অনলাইন ডেস্ক :

আধুনিক ইতিহাসে গত বছর সবচেয়ে বড় দুর্যোগের সম্মুখীন হয় তুরস্ক। ৭ দশমিক ৮ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত হয় তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলের ১১টি প্রদেশ। নিহত হন ৫০ হাজারের বেশি মানুষ। ধ্বংস হয়ে যায় লাখ লাখ বাড়ি। ভূমিকম্পের পর বিধ্বস্ত এলাকায় নতুন করে অবকাঠামো নির্মাণ প্রকল্পের ঘোষণা দেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ান। এরই অংশ হিসেবে শনিবার কিছু নতুন বাড়ির চাবি হস্তান্তর করা হয়েছে ভুক্তভোগীদের মাঝে। এরদোয়ান বলেন, আজকে আমরা হাতায়ে এলাকায় ৭ হাজার ২৭৫টি বাড়ি হস্তান্তর করছি। এই অঞ্চলে পর্যায়ক্রমে ৪০ হাজার বাড়ি হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি। গত বছর ভূমিকম্পে বিধ্বস্ত এলাকাগুলোর মধ্যে এটি অন্যতম।

বিধ্বস্ত এলাকায় আগামী দুই মাসের মধ্যে ৭৫ হাজার বাড়ি হস্তান্তর করার পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন এরদোয়ান। তুরস্কের সরকার এ বছরের মধ্যে দুই লাখ বাড়ি হস্তান্তর করবে। দেশটির নগরায়ণমন্ত্রী মেহমেত ওজাসেকি ভূমিকম্পে তুরস্কের দক্ষিণাঞ্চলে মোট ৬ লাখ ৮০ হাজার বাড়ি ধ্বংস হয়। এর মধ্যে ৩ লাখ ৯০ হাজার পরিবার বাড়ি পাওয়ার জন্য আবেদন করেছে। তুরস্ক ও সিরিয়ার সীমান্ত বরাবর ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় তুরস্কের দক্ষিণপূর্বাঞ্চল। শুক্রবার তুরস্কের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয় নতুন করে মৃত্যুর সংখ্যা প্রকাশ করেছে।

এতে দেখা গেছে, দেশটিতে আঘাত হানা ওই ভয়াবহ ভূমিকম্পে ৫৩ হাজার ৫৩৭ জন মারা গেছেন। ফলে দুই দেশ মিলিয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৬০ হাজার। সিরিয়ার সরকার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৬ ফেব্রুয়ারির ৭ দশমিক ৮ মাত্রার ভূমিকম্পে তাদের নিয়ন্ত্রিত এলাকায় এক হাজার ৪১৪ জন নিহত হয়। কিন্তু উত্তর সিরিয়ায় তুরস্কের সমর্থিত কর্মকর্তরা জানিয়েছে, বিদ্রোহী নিয়ন্ত্রিত এলাকায় ৪ হাজার ৫৩৭ জন নিহত হয়েছেন। ফলে দুই দেশের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ভূমিকম্পটিতে ৫৯ হাজার ৪৮৮ জন মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন। এর আগে সবচেয়ে বড় প্রাণঘাতী ভূমিকম্প হয় পেরুতে। ১৯৭০ সালের ভূমিকম্পে দেশটিতে ৬৭ হাজার মানুষের মৃত্যু হয়।