November 6, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, June 27th, 2022, 10:04 pm

ভোলায় শিশু নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল, দাদি কারাগারে

ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলায় মোবাইল ফোন চুরির ঘটনায় সাত বছরের শিশুকে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। পরে রবিবার পুলিশ শিশু নির্যাতনের দায়ে দাদিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠায়। আদালত জামিন না মঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।

সোমবার বিকালে বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, নির্যাতিত শিশু তানিশার বাবা মো. হারুন হাওলাদার এবং মা মনোয়ারা বেগম। প্রায় ছয় বছর আগে তানিশার বাবা মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। পরে বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে চট্টগ্রামে থাকেন। মা মনোয়ারা বেগমেরও অন্যত্র বিয়ে হয়ে যায়। সেই থেকে তানিশা তার নানার বাড়িতে বসবাস করত। সম্প্রতি তানিশাকে তার দাদার বাড়িতে আনা হয়। গত ২৩ জুন সকালে উপজেলার দেউলা ইউনিয়নের বড়পাতা গ্রামের হাওলাদার বাড়িতে একটি মোবাইল ফোন হারায়। ওই ফোন তানিশা চুরি করেছে এমন অভিযোগ তুলে দাদি সোনিয়া বেগম তানিশাকে অমানবিক নির্যাতন করেন। স্থানীয় এক কিশোর মোবাইল ফোনে নির্যাতনের একটি ভিডিও করে। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করলে ভিডিওটি ভাইরাল হয়।

৩১ সেকেন্ডের ওই ভিডিওতে দেখা যায়, দাদি সোনিয়া বেগম শিশুটির চুলের মুঠি ধরে পুকুর পাড়ের কাঁচা মাটির রাস্তা দিয়ে টেনে বাড়ির দিকে নিয়ে যাচ্ছেন। মাঝে মাঝে ওপরে তুলে আছাড় দিচ্ছেন। শিশুটি দাদির হাত থেকে বাঁচার চেষ্টা করছে আর মা মা বলে কান্না করছে। বাড়িতে নিয়ে লোহার প্লাস দিয়ে তানিশার ডান হাতের আঙ্গুলের নখ টেনে উঠিয়ে ফেলা হয়। এরপর তাকে গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

বোরহানউদ্দিন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহীন ফকির জানান, নির্যাতনের একটি ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হলে পুলিশের নজরে আসে। তারা অভিযান চালিয়ে রবিবার দুপুরে দাদি সোনিয়া বেগমকে গ্রেপ্তার করেন। এ ঘটনায় শিশুটির মা বাদী হয়ে মামলা করেন। এরপর বিকেলে সোনিয়া বেগমকে আদালতে তোলা হলে আদালত তাকে কারাগারে পাঠান। বর্তমানে শিশুটি তার মায়ের জিম্মায় রয়েছে।

—ইউএনবি