অনলাইন ডেস্ক :
করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের প্রতিবাদে গত বুধবার নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন শহরের রাস্তায় নামে শত শত মানুষ। একই দাবিতে বিক্ষোভ হয়েছে কসোভো এবং ক্রোয়েশিয়ায়। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় দেশ নিউজিল্যান্ড। সাম্প্রতিক সময়ে কঠোর লকডাউন এবং ভ্যাকসিনের মাধ্যমে করোনায় মৃত্যুহার কম রাখলেও এখন পড়েছে স্থানীয় বাসিন্দাদের তীব্র নিন্দার মুখে। স্থানীয় সময় গত বৃহস্পতিবার নিউজিল্যান্ডের রাজধানী ওয়েংলিটনে হাজার হাজার মানুষ কোভিড- ১৯ এর আদেশ ও লকডাউনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেন। কারণ দেশটির প্রায় ৯০ শতাংশ মানুষ সফলভাবে টিকা গ্রহণ করেছে। কঠোর নির্দেশনা এবং টিকা গ্রহণ দেশটির মৃত্যু হার কমাতে বেশ কার্যকরী ভূমিকা পালন করেছে। কিন্তু বিক্ষোভকারীরা এর তীব্র সমালোচনা করেছে। তাদের ভাষ্যমতে বাধ্যতামূলক ভ্যাকসিন গ্রহণ অনেকটাই তাদের স্বাধীনতা খর্ব করার মতো। ইতিমধ্যে সরকার শিক্ষক, স্বাস্থ্যকর্মী, প্রতিবন্ধী সেক্টর, পুলিশ এবং অন্যান্য সরকারি পরিষেবা সেক্টরের কর্মীদের জন্য টিকা নেওয়ার আদেশ জারি করেছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন। মোটর সাইকেলে করে এসে কিছু বিক্ষোভকারীরা ধোঁয়া নির্গত করার মাধ্যমে তাদের প্রতিবাদ জানায়। বাকিরা সংসদ ভবনের সামনে এসে জড়ো হয়ে মিছিল করতে থাকে এতে করে সংসদের প্রবেশপথ বন্ধ এবং কয়েক ডজন পুলিশ মোতায়েনের মাধ্যমে নিরাপত্তা জোরদার করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ক্রমবর্ধমান চাপের মধ্যে প্রধানমন্ত্রী জেসিভা আরডার্ন বড়দিনের ছুটির আগে বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। অন্যদিকে কোভিড ১৯ ‘ য়ের টিকার ক্ষেত্রে বয়স কমানোর দাবিতে স্থানীয় সময় গত বুধবার ক্রোয়েশিয়ার রাজধানী জাগরেব-এর সরকারি সদর দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ করেছেন স্থানীয়রা। ইইউয়ের সব গুলো দেশে শিশুদের ভ্যাকসিন দেওয়ার ক্ষেত্রে পিতামাতার অনুমতির প্রয়োজন রয়েছে। আসন্ন ছুটির মরসুমে ওমিক্রন দ্রুতগতিতে ছড়িয়ে না পরে সে জন্য গ্রীস, ইতালি এবং ইউরোপীয়ও ইউনিয়নের বেশ কিছু দেশে ৫-১১ বছর বয়সী শিশুদের টিকা দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে দেশটির সরকার। এদিকে কসোভোর রাজধানী প্রিস্তিনায় রেঁস্তোরা এবং বারের মালিকেরা করোনাভাইরাসের বিধিনিষেধের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ ঘোষণা করেছে। কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দাবি নতুন বছরের মধ্যে বিধিনিষেধ মূলক ব্যবস্থা যাতে শেষ করে দেওয়া হয়। স্থানীয় জনগণ বিয়ে- শাদী সহ অন্যান্য সামাজিক অনুষ্ঠানগুলোতে অংশগ্রহণ করতে চায়। মহামারির কারণে কসোভো গত বছর অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক ক্ষতির সম্মুখীন হয়। বিগত দুই মাস ধরে ওমিক্রনের কারণে দেশটি মারাত্মক ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির প্রশাসন।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু