নিজস্ব প্রতিবেদক:
ইন্টারনেটের ব্যবহার যত বাড়ছে তত বাড়ছে সাইবার অপরাধের ঘটনা। ফলে আর্থিক ক্ষতি থেকে নানা রকমের হয়রানির শিকার হচ্ছেন অনলাইন ব্যবহারকারীরা। একটি গবেষণায় দেখা গেছে, সাইবার অপরাধের অভিযোগে সবচেয়ে বেশি মামলা হয়েছে ঢাকা জেলায়। ঢাকার বাইরে বেশি মামলা চট্টগ্রাম জেলায়। সারা দেশ থেকে ঢাকা সাইবার ট্রাইব্যুনালে আসা মামলার তথ্য পর্যালোচনা করে দেখা যায়, মোট মামলার অর্ধেকের বেশি এসেছে মাত্র ১৫টি জেলা থেকে। মামলাগুলোর বেশির ভাগ করা হয়েছে তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি আইনের ৫৭ ধারায়। এই ধারার অপরাধ হচ্ছে অনলাইনে মিথ্যা ও মানহানিকর তথ্য, বিকৃত কিংবা অশ্লীল ছবি প্রকাশ করা।
২০১৩ সালে ঢাকায় একমাত্র সাইবার ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। গত প্রায় ৮ বছরে সাইবার ট্রাইব্যুনালে ১২৪টি মামলার রায় হয়েছে। এর মধ্যে সাজা হয়েছে মাত্র ২৯টি মামলায়। এই সময়ে নিষ্পত্তি হয়েছে এক হাজার ১০০ মামলার। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা দুই হাজারের মতো।
সাইবার ট্রাইব্যুনাল সূত্র থেকে জানা যায়, সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা চলাকালে অনেক অভিভাবক এসে মামলা তুলে নেন এই বলেন যে তাদের মেয়ের বিয়ে হয়ে গেছে, সে সুখে শান্তিতে আছে। তাই তাঁরা আর মামলা চালাতে চান না। এমনকি উপজেলা চেয়ারম্যান বা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানকে সঙ্গে নিয়ে আসেন। তারাও সাক্ষ্য দেন মামলা চালালে মেয়ের ক্ষতি হতে পারে, তার সংসারে অশান্তি তৈরী হতে পারে। তাই মামলা প্রত্যাহার করে নেয়া জরুরি। ফলে অনেক মামলা প্রত্যাহৃত হয়।
জানা যায়, ট্রাইব্যুনাল থেকে রায় হওয়া মামলাগুলোর মধ্যে সামাজিক মাধ্যমে নারীদের হয়রানি, প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর স্ট্যাটাসসহ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অধীনে করা বিভিন্ন মামলা রয়েছে।
সাইবার অপরাধ ট্রাইব্যুনালে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ২০১৩ সাল থেকে গত ৩১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত ১২৪টি মামলার রায় ঘোষণা করেছে সাইবার ট্রাইব্যুনাল। এর মধ্যে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ২৯টি মামলায় আসামির সাজা হয়েছে। আর অপরাধ প্রমাণিত না হওয়ায় ৯৫টি মামলায় আসামিরা বেকসুর খালাস পেয়েছেন। এর বাইরে অভিযোগ গঠনের শুনানির দিনেই মামলা থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন ২০০টিরও বেশি মামলার আসামিরা।
সাইবার অপরাধে কিশোর-তরুণরাঃ বাংলাদেশে অনলাইন এবং অ্যাপ ব্যবহার করে সাইবার অপরাধ সংঘটিত হচ্ছে। জুয়া, পর্নোগ্রাফি ও মানব পাচার কিছুই বাদ যাচ্ছে না। সবচেয়ে বড় আশঙ্কার বিষয়, এতে জড়িয়ে পড়ছে কিশোর-তরুণরা।
সম্প্রতি এক নারীকে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ ও নির্যাতনের ঘটনায় ভারতের ব্যাঙ্গালুরু পুলিশ পাঁচ বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে। তাদের মধ্যে একজনের নাম, এ ভি হৃদয়। তিনি ‘টিকটক হৃদয়’ নামে পরিচিত বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ। তাদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী, টিকটক অ্যাপে কাজ করার প্রলোভন দেখিয়ে নারী পাচারের অপরাধ করে আসছিলো হৃদয়। তিনিসহ ভারতে আটককৃতরা বাংলাদেশ থেকে এক তরুণীকে পাচারের উদ্দেশ্যে নিয়ে নির্যাতন করে। সেই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পরেই ভারতের পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
কিছুদিন আগে বাংলাদেশে আরেকটি অনলাইন অপরাধী চক্রের সন্ধান পায় সিআইডি। এই চক্রটি ‘স্ট্রিমকার’ নামে একটি জুয়ার অ্যাপ ব্যবহার করে দেশের বাইরে টাকা পাচার করে আসছিলো। এই চক্রের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। তারা এই জুয়ায় বিটকয়েনসহ আরো কিছু অনলাইন মুদ্রা ব্যবহার করত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক শিক্ষার্থী মৃত্যুর ঘটনার সূত্র ধরে কয়েক মাস আগে পুলিশ প্রথমবারের মতো বাংলাদেশে ভয়ঙ্কর এলএসডি মাদকের সন্ধান পায়। এই মাদকের যোগাযোগও চলতো অনলাইনে। ফেসবুকে এই মাদক সেবন ও সরবারাহকারীদের একাধিক গ্রুপের সন্ধান পায় পুলিশ।
এছাড়া গত বছরের অক্টোবরে অনলাইন পর্নোগ্রাফির সাথে যুক্ত একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যলয়ের তিন ছাত্রকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তারা পর্নোগ্রফির বাজার গড়ে তুলেছিলো উন্নত বিশ্বে। নানা প্রলোভন আর বন্ধুত্বের আড়ালে তারা পর্নোগ্রাফি তৈরি করত। এর আগেও ২০১৪ সালে এরকম আরেকটি গ্রুপ ধরা পড়ে।
সাইবার অপরাধের প্রধান শিকার নারীঃ সাইবার হয়রানি থেকে সুরক্ষা দিতে বাংলাদেশ সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) বিভাগে একটি সাইবার হেল্প ডেস্কে রয়েছে। এই হেল্প ডেস্কে গত দু’বছরে ১৭ হাজারেরও বেশি অভিযোগ জমা পড়ে। দেখা যায়, অভিযোগকারীদের মধ্যে ৭০ ভাগই নারী। আরও সুর্দিষ্ট করে বললে, নারীদের অভিযোগের ৬০ ভাগেরও বেশি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুক সংক্রান্ত।
এর মধ্যে ১০ ভাগ অভিযোগ খুবই ভয়াবহ। এই ১০ ভাগের মধ্যে রয়েছে অন্যের ছবিতে ছবি জুড়ে দেওয়া (সুপার ইম্পোজ) এবং পর্নোগ্রাফি। তাছাড়া ইউটিউব ও বিভিন্ন সাইটে এসব পর্নোগ্রাফি ও ছবি আপলোড করার হারও বেড়েছে।
আইসিটি বিভাগের তথ্য থেকে জানা যায়, ফেসবুকের চ্যাট বা ভিডিও চ্যাটের ছবি একটু এদিকে-ওদিক করে বা ব্যক্তিগত সম্পর্কের ভিডিও-চিত্র দ্রুত ইউটিউব-এ বা বিভিন্ন পর্নো সাইটে শেয়ার করা হচ্ছে।
হেল্প ডেস্ক থেকে আরো জানা যায়, অভিযোগ আসার দু-একদিনের মধ্যে ভুক্তভোগী যখন রিপোর্ট করতে যায় তখন দেখা যায় যে, তা কয়েক হাজারবার শেয়ার হয়ে গেছে। এসব ঘটনা ফেসবুকে রিপোর্ট করেও কাজ হয় না। ওদিকে গুগল তা মুছতে চায় না। ফলে পরিস্থিতি জটিল হয়ে ওঠে।
সাইবার সিকিউরিটি সেলঃ বাংলাদেশে ক্রমবর্ধমান সাইবার অপরাধ প্রতিরোধে ২৪ ঘণ্টার নজরদারি করতে ১০ সদস্যের বিশেষ ‘সাইবার সিকিউরিটি সেল’ গঠন করেছে বিটিআরসি। কিন্তু নজরদারি শুরুর আগেই এর কার্যকারিতা নিয়ে শোনা যাচ্ছে নিরাশার কথা।
জানা যায়, ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সরকার ও রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন কন্টেন্ট-এর ওপর নজর রাখবে সাইবার সিকিউরিটি সেল। একইসঙ্গে সামাজিক, রাজনৈতিক, পর্নোগ্রাফি, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় বিষয়ে উসকানিমূলক ও উগ্রবাদী কন্টেন্ট-এ নজর রাখবে এই সেল। সরাসরি আপত্তিকর কোন কন্টেন্ট পেলে তা সরিয়ে দেবে। এতদিন তারা শুধু আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর অনুরোধেই এই কাজ করতো। এখন সরাসরি করবে। এর আগেও ২০১২ সালে এই ধরনের উদ্যোগ নিয়েছিল বিটিআরসি। তবে সেই উদ্যোগ ফলপ্রসূ হয়নি।
সাইবার সিকিউরিটি সেলকে ঘিরে এখন কয়েকটি প্রশ্ন সামনে এসেছে। ১. বিটিআরসির সক্ষমতা ২. আইনগত দিক ৩. মত প্রকাশের স্বাধীনতা ৪. ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের দায়িত্ব এবং ৫. ফেসবুক নিয়ন্ত্রণে দেশীয় আইন।
হাইকোর্টের নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও বিটিআরসি পাবজি এবং ফ্রি ফায়ার গেম বন্ধ করতে পারেনি। বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান সুব্রত রায় মৈত্রের ভাষ্য,’পুরোপরি বন্ধ করার সক্ষমতা আমাদের নেই। আমরা আল-জাজিরার লিংকও বন্ধ করতে পারিনি। ফেসবুক ও গুগলকে চিঠি দেয়ার পরও তারা বন্ধ করেনি। আর ভিপিএন (ভার্চুয়াল প্রাইভেট নেটওয়ার্ক) ব্যবহার করে যারা সক্রিয়, তাদের চিহ্নিত বা বন্ধ করার কোনো প্রযুক্তি আমাদের কাছে নেই।’
প্রযুক্তিবিদদের মতে, ‘যদি নজরদারি করতে হয়, তাহলে বিটিআরসির ওপেন সোর্স ইন্টেলিজেন্স সফটওয়ার লাগবে। এটা ছাড়া আসলে মনিটরিং সফল হয় না। আর এটা বিটিআরসির নেই। এর পাশাপাশি ফেসবুক বা অন্যান্যের সাথে আইনগত চুক্তি করতে হবে। ভারত ফেসবুকের কাছ থেকে এডিটিং প্যানেল নিয়েছে। আমাদেরও সেটা নিতে হবে। সেটা না পারলে বাস্তবে কোনো কাজ হবে না।’
বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী যেসব লিংক বন্ধ করতে বিটিআরসিকে অনুরোধ করে তা জিজিটাল সিকিউরিটি আইনের আওতায় করা হয় বলে জানান সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। এ ক্ষেত্রে তাঁর ভাষ্য, ‘ফেসবুক বা গুগলে বিটিআরসির সরাসরি হস্তক্ষেপের কোনো সুযোগই নেই। আমাদের ওয়েবসাইট বা অনলাইন নেটওয়ার্কে বিটিআরসি হস্তক্ষেপ করতে পারে। কোনো দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তি চাইলেই হস্তক্ষেপ করতে পারেন।’
তিনি মনে করেন, বাংলাদেশে সাইবার অপরাধ এবং গুজব যেভাবে বাড়ছে, তাতে এটার প্রয়োজন আছে। কিন্তু এটা মানুষের বাক-স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণে ব্যবহার করা হলে পরিস্থিতি খারাপ হবে।
সাইবার মামলা তদন্তের জটিলতাঃ বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, ২০১৩ সাল থেকে এ পর্যন্ত সারাদেশের বিভিন্ন থানা মারফৎ বিচারের জন্য সাইবার ট্রাইব্যুনালে মোট মামলা এসেছে দুই হাজার ৬৪২টি। প্রতিবছরই মামলার সংখ্যা বেড়ে।ে ২০১৯ সালে ৭২১টি, ২০১৮ সালে ৬৭৬টি, ২০১৭ সালে ৫৬৮টি, ২০১৬ সালে ২৩৩টি, ২০১৫ সালে ১৫২টি, ২০১৪ সালে ৩৩টি এবং ২০১৩ সালে এসেছে ৩টি । চলতি বছরে ২৫৬টি মামলা হয়েছে। এখন পর্ন্ত সরাসরি ট্রাইব্যুনালে দায়ের করা হয়েছে ১ হাজার ৮২টি মামলা। এর মধ্যে ৪৪৭টি মামলায় বিভিন্ন সংস্থাকে তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল। বাকি ৬৩৫টির প্রয়োজনীয় উপাদান না থাকায় আদালত খারিজ করে দেন। ৪৪৭টির মধ্যে ১৫০টি মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ইতোমধ্যে আদালতে জমা হয়েছে। বর্তমানে ট্রাইব্যুনালে সব মিলিয়ে বিচারাধীন মামলার সংখ্যা দুই হাজার ২১টি।
শুধু বিচার প্রক্রিয়া নয়, সাইবার মামলার তদন্তেও অনেক ধরনের চ্যালেঞ্জ আছে। এ ক্ষেত্রে ঢাকা মেট্টোপলিটন পুলিশের সাইবার ক্রাইম ইউনিটের ভাষ্য, ‘অনেক সময় তদন্তে অপরাধ প্রমান করা কঠিন হয়ে পড়ে। কেননা অনেক ভিকটিম দেরিতে রিপোর্ট করেন। তিনি হয়তো একটা স্ক্রিন শট রেখে দেন। এখন যে ডিভাইস দিয়ে অপরাধ হয়েছে অপরাধী যদি ওই ডিভাইসটা বদলে ফেলেন তাহলে কিন্তু সিআইডির ফরেনসিক পরীক্ষায় প্রমাণ করা যায় না। দেরিতে আসার কারণে অনেক আলামত নষ্ট হয়ে যায়। আবার অপরাধী দাবি করে বসেন, স্ক্রিন শটটি বানানো। সে হয়তো পোষ্টটা ডিলিট করে দিয়েছে। ফলে এমন কোন তথ্য উপাত্ত নেই যেটা দিয়ে প্রমাণ হয় অপরাধী আসলে অপরাধটি করেছে। ভার্চুয়াল বিষয়ের মামলাগুলোতে শুধু বাংলাদেশ নয়, সারা বিশ্বেই চ্যালেঞ্জ অনেক। পাশাপাশি দক্ষ জনবলের অভাব তো আছেই। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে সংকট কাটানোর চেষ্টা চলছে।’
ডিএমপির সাইবার ক্রাইম ইউনিটের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘সমস্যা হচ্ছে সাইবার অপরাধের ধরন প্রতিদিনই পাল্টে যাচ্ছে। আমরাও সেই অনুযায়ী আমাদের তদন্ত, অনুসন্ধান এবং প্রযুক্তি আপডেট করছি। ঢাকায় সাইবার অরপরাধ দমনে আমরা সক্ষম। কিন্তু সারাদেশে সেই সক্ষমতা গড়ে ওঠেনি। তবে কাজ চলছে। প্রশিক্ষিত জনবল তৈরি হচ্ছে।’
উল্লেখ্য, সাইবার অপরাধ বা কম্পিউটার অপরাধ এমন একটি অপরাধ যা কম্পিউটার এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সাথে সম্পর্কিত। কম্পিউটার একটি অপরাধ সংঘটনে ব্যবহৃত হয়ে থাকতে পারে বা এটা নিজেই লক্ষ্য হতে পারে। দেবারতি হালদার ও কে জয়শংকর সাইবার অপরাধকে সংজ্ঞায়িত করেছেন ‘আধুনিক টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক, যেমন ইন্টারনেট (চ্যাট রুম, ইমেল, নোটিশ বোর্ড ও গ্রুপ) এবং মোবাইল ফোন (এসএমএস / এমএমএস) ব্যবহার করে, অপরাধমূলক অভিপ্রায়ে কোন ব্যক্তি বা ব্যক্তিবর্গের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে সম্মানহানি, কিংবা সরাসরি বা পরোক্ষভাবে শারীরিক বা মানসিক ক্ষতি, বা ক্ষতির কারণ হওয়া।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার বাসভবনের সামনে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ