অনলাইন ডেস্ক :
মার্ভেলের দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ছবি ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্যা মাল্টিভার্স অফ ম্যাডনেস’। মে মাসের প্রথম সপ্তাহেই বিশ্বজুড়ে মুক্তি পাবে এই ছবি। কিন্তু সৌদি আরব, কুয়েতসহ মধ্যপ্রাচ্যের বেশকিছু দেশে ছবিটি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। হলিউড রিপোর্টারের সূত্রে জানা গেছে, সমকামিতার অভিযোগে নিষিদ্ধ করা হয়েছে এই ছবি। কারণ, মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে সমকামিতা অবৈধ। ডক্টর স্ট্রেঞ্জের এই সিক্যুয়েলে আমেরিকা শ্যাভেজ চরিত্রে অভিনয় করেছেন জোচিটল গোমেজ। কমিক্সে এই চরিত্রটিকে সমকামী হিসেবে দেখানো হয়েছে। হলিউড রিপোর্টারের বরাত দিয়ে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বলছে, সৌদি আরব, কুয়েত, কাতারে নিষিদ্ধ হলেও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটি মুক্তি পেতে যাচ্ছে। তবে আরেকটি সূত্র বলছে, বাহরাইন, ওমান, কুয়েত, সৌসি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতে ছবিটি প্রদর্শন থাকবে। এদিকে বাংলাদেশে মুক্তি পাচ্ছে ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ ইন দ্যা মাল্টিভার্স অফ ম্যাডনেস। ’ ইতোমধ্যে ঢাকায় ছবিটিকে ঘিরে তরুণদের মধ্যে তৈরি হয়েছে উন্মাদনা। রাজধানীর স্টার সিনেপ্লেক্সের একটি সূত্র জানায়, আগামী (৬ মে) ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ’ মুক্তির দিনের কোনো টিকিট এখন অবিক্রীত নেই। শুধু বসুন্ধরা নয়, সীমান্ত সম্ভার, মহাখালী এসকেএস টাওয়ার, সনি স্কয়ার―সবখানের অগ্রিম ৬ মের টিকিট শেষ হয়ে গেছে। স্টার সিনেপ্লেক্স কর্তৃপক্ষ অগ্রিম ১২ মে পর্যন্ত টিকিট বিক্রি করছে। ‘ডক্টর স্ট্রেঞ্জ'(২০১৬)-এর সিক্যুয়েল এবং মার্ভেল সিনেম্যাটিক ইউনিভার্সের (এমসিইউ) ২৮তম চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করেছেন স্যাম রাইমি এবং চিত্রনাট্য লিখেছেন জেড বার্টলেট ও মাইকেল ওয়ালড্রন। এতে অভিনয় করছেন এলিজাবেথ ওলসেন, রাচেল ম্যাকঅ্যাডামস, চিওয়েটেল ইজিওফোর এবং জোচিটল গোমেজ। মূল স্টিফেন স্ট্রেঞ্জ চরিত্রে আছেন বেনেডিক্ট কাম্বারব্যাচ। ছবিতে স্ট্রেঞ্জ বন্ধু থেকে শত্রু হয়ে ওঠা চরিত্রের সাথে মোকাবেলা করে। ডক্টর স্ট্রেঞ্জ’-এর পরিচালক এবং সহ-লেখক স্কট ডেরিকসন অক্টোবর ২০১৬ সালের মধ্যে একটি সিক্যুয়েলের পরিকল্পনা করেছিলেন। তিনি ডিসেম্বর ২০১৮ সালে পরিচালক হিসেবে ফিরে আসেন এবং আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাক্ষর করেন; একই সাথে কাম্বারব্যাচও ফিরে আসেন। চলচ্চিত্রটির শিরোনাম জুলাই ২০১৯ সালে ঘোষণা করা হয়, ঠিক সে সময়ে ওলসেনের জড়িত থাকার বিষয়টিও জানানো হয়। বার্টলেটকে সেই অক্টোবরে চলচ্চিত্রটি লেখার জন্য নিয়োগ করা হয়। সৃজনশীল কিছু ব্যাপারে পার্থক্যের কথা উল্লেখ করে ডেরিকসন ২০২০ সালের জানুয়ারিতে পরিচালকের পদ থেকে সরে দাঁড়ান। পরের মাসে ওয়াল্ড্রন এই প্রকল্পে যোগ দেন এবং রাইমি এপ্রিল ২০২০ সালের মধ্যে পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ২০২০ সালের নভেম্বর মাসে লন্ডনে চিত্রগ্রহণ শুরু হয় কিন্তু ২০২১ সালের জানুয়ারিতে কভিড-১৯-এর বৈশ্বিক মহামারির কারণে তা স্থগিত রাখা হয়। মার্চ ২০২১ সালের মধ্যে এর কাজ পুনরায় শুরু হয় এবং এপ্রিলের মাঝামাঝি সমারসেটে দৃশ্যায়ন হয়। সারেতেও এর কিছু অংশের দৃশ্যায়ন হয়েছিল।
আরও পড়ুন
ইউটিউব থেকে সরানো হলো শাকিবের ‘তুফান’
চিন্তিত অনন্যা পান্ডে
কনাকে নিয়ে সুখবর দিলেন আসিফ