রেলওয়ে রানিং স্টাফ কর্মচারী ইউনিয়নের আন্দোলনের কারণে এবার চট্টগ্রাম থেকে সারাদেশে পণ্যবাহী ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে।
মাইলেজ জটিলতা নিরসনের দাবিতে ৮ ঘণ্টার বেশি কাজ করছেন না রেলওয়ে রানিং স্টাফরা। এর ফলে বিপাকে পড়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ।
আন্দোলনের ফলে এর আগে চট্টগ্রামের বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী ৮টি ডেমু ট্রেনের যাত্রা বাতিল করে রেল কর্তৃপক্ষ।
২৫ জুলাই মঙ্গলবার থেকে বন্ধ হয় পণ্য পরিবহণকারী ট্রেনের চলাচল। এর আগে রবিবার (২৩ জুলাই) হতে চট্টগ্রাম থেকে রেলওয়ে রানিং স্টাফ কর্মচারী ইউনিয়ন এই কর্মবিরতি শুরু করেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, চালকের সংকটের কারণে অনেক দিন ধরে ট্রেনে করে পণ্য পরিবহন পরিচালনা করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। এর মধ্যে চালকদের বাড়তি কাজ না করার সিদ্ধান্তে নতুন করে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এ আন্দোলন বেশিদিন স্থায়ী থাকলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে।
রেলওয়ের রানিং স্টাফ ও শ্রমিক কর্মচারী সমিতির সভাপতি রফিক চৌধুরী বলেন, মাইলেজ ভাতা ১৮৬২ সাল থেকে দেওয়া হচ্ছে। মাইলেজ ভাতা না দিলে লোকোমাস্টাররা (চালক) কেন বাড়তি কাজ করবেন?
তিনি আরও বলেন যে তারা এখন থেকে ৮ ঘণ্টা ডিউটি করবেন।
রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, নিয়ম অনুযায়ী একজন রানিং স্টাফ (চালক, সহকারী চালক, গার্ড, টিকেট চেকার) ট্রেনে দায়িত্ব পালনশেষে তার নিয়োগপ্রাপ্ত এলাকায় (হেডকোয়ার্টার) হলে ১২ ঘণ্টা এবং এলাকার বাইরে (আউটার স্টেশন) হলে ৮ ঘণ্টা বিশ্রামের সুযোগ পান।
তবে রেলওয়ের স্বার্থে কোনো রানিং স্টাফকে তার বিশ্রামের সময়ও কাজে যুক্ত করলে বাড়তি ভাতা-সুবিধা দেওয়া হয়। যা রেলওয়েতে মাইলেজ সুবিধা হিসেবে পরিচিত।
শ্রমিক-কর্মচারী সমিতির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান বলেন, রেলওয়েতে রানিং স্টাফের পদ ২ হাজার ২০০ জন। কাজ করেন মাত্র ৯০০ জন। রানিং স্টাফরা অতিরিক্ত কাজ করেই ট্রেন চলাচল সচল রেখেছেন। কিন্তু অতিরিক্ত কাজের মজুরি না পেলে একজন শ্রমিক কেনো কাজ করবেন? তাই রবিবার থেকে রানিং স্টাফরা নির্ধারিত কর্মঘণ্টার বাইরে অতিরিক্ত কাজ না করার সিদ্ধান্ত নেয়।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার জাফর আলম বলেন, লোকাল রুটে কয়েকটি ট্রেনের যাত্রা বাতিল হলেও আন্তঃনগরসহ গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলোর যাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি