October 8, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, November 23rd, 2021, 7:47 pm

মাকে বাইরে রেখে মেয়েকে ধর্ষণ করেন ম্যারাডোনা

অনলাইন ডেস্ক :

এক বছর হয়ে গেছে আর্জেন্টাইন কিংবদন্তি দিয়াগো ম্যারাডোনা পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে অন্য জগতে চলে গেছেন। তবু তাকে নিয়ে আলোচনা থামছে না। আগামী এক যুগেও যে ম্যারাডোনা আলোচনায় থাকবেন-তা বলেই দেওয়া যায়। বর্ণময় ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ম্যারাডোনার জীবনের অংশ ছিল ড্রাগ, নারীসঙ্গ আর খ্যাপাটে সব কা-কারখানা। তাঁর মৃত্যুর পরও অভিযোগ যেন পিছু ছাড়ছে না। ম্যারাডোনার মৃত্যুদিনের প্রাক্কালে তাঁর সাবেক অপ্রাপ্তবয়স্ক বান্ধবী মাভিস আলভারেজ ধর্ষণের অভিযোগ এনেছেন! ৩৭ বছর বয়সী এই কিউবান নারী সম্প্রতি মানব পাচারের মামলায় আর্জেন্টিনার বিচার বিভাগের সামনে সাক্ষ্য দিতে ২০ বছর পর যুক্তরাষ্ট্রের মায়ামি থেকে আর্জেন্টিনায় এসেছেন। স্থানীয় গণমাধ্যম ‘ইনফোবে’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, ‘২০০১ সালে একবার আমি ম্যারাডোনার সঙ্গে আর্জেন্টিনায় আসি। এবার দ্বিতীয় দফায় এলাম। আমাকে বাক্সে ভরে সবার অগোচরে আনার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু পরে দিয়াগোর বন্ধু ফিদেল কাস্ত্রোর সহযোগিতা ও বিশেষ অনুমতিতে বুয়েনস এইরেসে আমি যেতে পারি।’ তারা গিয়ে উঠেন হাভানার এক হোটেলে। সেই হোটেলে মাভিসের মাও এসেছিলেন মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে। মাভিস আরও বলেন, ‘ম্যারাডোনা আমার মুখ চেপে রেখেছিলেন, যাতে আমি চিৎকার না করতে পারি। আমি তাই কিছু বলতে পারিনি। এরপর আমাকে ধর্ষণ করেন তিনি। সেদিন মা আমার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। তিনি জানতেন, আমরা ওই হোটেলের কোন কক্ষে ছিলাম। কিন্তু ডিয়েগো কক্ষের দরজা খোলেননি। আমার মা কেঁদে কেঁদে দরজায় কড়া নেড়েই যাচ্ছিলেন। তাও ডিয়েগো রাজি হননি। পরে ক্লান্ত হয়ে আমার মা চলে যান। কারণ, ম্যারাডোনা দরজা খুলছিল না।’ ২০ বছর আগের এই ঘটনা এতদিন পর সামনে আনার কারণ সম্পর্কে জানতে চাওয়া হয় মাভিসের কাছে। জবাবে তিনি বলেন, ‘দেখুন, ফিদেল কাস্ত্রোও মারা গেছেন, ডিয়েগো ম্যারাডোনাও মারা গেছেন। আমার মেয়ের বয়স এখন ১৫ বছর। মনে হয়েছে, আমার মেয়ের বয়স এখন ঠিক তেমন, যে বয়সে আমার সঙ্গে ওসব হয়েছিল। আমি হোটেল থেকে বেরোতে পারতাম না, আমাকে আটকে রাখা হয়েছিল। আমাকে অপহরণ করে নিয়ে আসা হয়েছিল। আমি কিছুই জানতাম না শহরটার ব্যাপারে। সব সময় একজন বা দুজন আমাকে দেখে দেখে রাখত।’ ম্যারাডোনা সম্পর্কে আরও অভিযোগ এনে মাভিস বলেন, ‘ম্যারাডোনা কৃত্রিমভাবে আমার স্তন প্রতিস্থাপন করাতে চেয়েছিলেন। আমি তখন নাবালিকা। তাই এ কাজ করতে হলে অভিভাবকের সম্মতির দরকার হয়। কিন্তু ম্যারাডোনা ওসবের ধার ধারেননি। যে কারণে আর্জেন্টিনায় বেশি দিন থাকতে হয় আমাদের। ম্যারাডোনা ছোট স্তন পছন্দ করতেন না। তাঁর বিশেষ আগ্রহেই এ কাজ করতে হয়। কিন্তু আমার শরীরে পর্যাপ্ত চামড়া না থাকার কারণে ম্যারাডোনার প্রত্যাশা অনুযায়ী স্তনের আকার দেওয়া সম্ভব হয়নি।’