অনলাইন ডেস্ক :
গত শুক্রবার মধ্যরাতে স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়ে একটি ভিডিও প্রকাশ করেন চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। আট মিনিটের বেশি সময়ের সেই ভিডিওতে তিনি জানান, এখন তাঁরা আলাদা আছেন। খুব দ্রুত ডিভোর্সের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করবেন। তিনি ভিডিওর শুরুতে তাঁর স্বামী রাকিব সম্পর্কে বলেন, ‘আমাদের বোঝাপড়া ভালো ছিল এবং আমরা ভালো ছিলাম। সে খুব ভালো একজন মানুষ। খুব পরোপকারী ও কেয়ারিং। আমার পুরো পরিবারকে সম্মান করেছে। সব সময় ছাতার মতো করে আগলে রেখেছে।’ তারপর নিজেদের আলাদা হয়ে যাওয়ার কথা বলেন এই নায়িকা।
বলেন, ‘একটা ছাদের নিচে দুজন ভালো নেই। এটা শুধু ওই দুজন বলতে পারবে। আর কেউ বুঝবে না। আমাদের যে সম্পর্ক ছিল এবং সম্মান ছিল সেই জায়গা থেকে দুজন ভেবেছিলাম সেপারেশনে যাব। যাব না, অলরেডি আমরা সেপারেশনে আছি। হয়তো খুব দ্রুত এটার একটা সমাপ্তি হবে। তবে আমি তাকে সম্মান করি।’ তবে বিচ্ছেদ নিয়ে গেল দুদিন দুজনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কেউ সাড়া দেননি। মেসেজে বা হোয়াটসঅ্যাপে খুদে বার্তা দিলেও কেউ উত্তর দেননি।
গত রোববার সন্ধ্যার পর তাঁর স্বামী রাকিব সরকারের সঙ্গে কথা হয় সংবাদ মাধ্যমের। এ সময় বিচ্ছেদ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি আসলে এ সময় এসব নিয়ে কথা বলতে চাই না। একটু সময় নিই। আমিও একটা ভিডিও করে সব কিছু বলব। আমি এসব নিয়ে কোথাও কোনো মন্তব্য করিনি। আমি একটু সব কিছু অবজার্ভ (পর্যবেক্ষণ) করছি।’ তাঁর কাছে জানতে চাওয়া হয়, ‘আপনারা আলাদা আছেন বলে মাহি জানিয়েছেন। দ্রুতই ডিভোর্সের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হবে বলে জানিয়েছেন। সেটা নিয়ে আপনার মন্তব্য কী?’ রাকিব সরকার বলেন, ‘তার ভিডিও আপনারা দেখেছেন। আপনারা সবই শুনেছেন। নতুন করে আর কিছু বলতে চাইছি না। সময় নেই। তারপর বলব।’
তবে কবে নাগাদ তাদের বিচ্ছেদ হবে সে বিষয়ে কিছুই বলেননি রাকিব সরকার। কথা শেষ করে জানান, খুব দ্রুত একটি ভিডিও বার্তার মাধ্যমে সব কিছু পরিষ্কার করবেন তিনি। উল্লেখ্য, ২০২১ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর গাজীপুরের রাজনীতিবিদ রাকিব সরকারকে বিয়ে করেন মাহিয়া মাহি। তাঁদের ঘরে একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালে সিলেটের ব্যবসায়ী পারভেজ মাহমুদ অপুকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন এই নায়িকা। ২০২১ সালের ২২ মে তাঁদের ওই বিয়ে ভেঙে যায়।
আরও পড়ুন
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু
নেপালে ভয়াবহ বন্যা, ভূমিধসে মৃত্যু বেড়ে ১৯২