July 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, April 7th, 2023, 8:27 pm

মিরপুরে আলিম দারকে ‘গার্ড অব অনার’ সম্মাননা

অনলাইন ডেস্ক :

টেস্ট শেষে করদর্মদন আর পরস্পর শুভেচ্ছা জানানোর পর্বের পরও শেষ হলো না আনুষ্ঠানিকতা। তখনও বাকি কিংবদন্তিকে সম্মান জানানো। দুই দলের ক্রিকেটাররা সেই আয়োজনে সামিল হলেন। মাঠের এক প্রান্তে সারিবদ্ধ হয়ে মুখোমুখি দাঁড়ালেন বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ডের ক্রিকেটাররা। মাঝখান দিয়ে হেঁটে এলেনে আলিম দার। ক্রিকেটাররা তালি দিয়ে সম্মান জানালেন তাকে। গ্যালারি থেকে ভেসে এলো দর্শকের অভিনন্দনও। হাত উঁচিয়ে শুভেচ্ছার জবাব দিলেন দার। ২০০৩ সালে ঢাকারই আরেক মাঠ বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে প্রথমবার টেস্ট পরিচালনা করতে দাঁড়িয়েছিলেন দার। সেই তিনি এলিট প্যানেলের আম্পায়ার হিসেবে শেষ টেস্ট পরিচালনা করলেন মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে। বিদায় বেলায় অভিনন্দনে সিক্ত হলেন ৫৪ বছর বয়সী এই পাকিস্তানি আম্পায়ার। দুই দলের ক্রিকেটারদের কাছ থেকে সম্মান পাওয়ার পর বিসিবির কাছ থেকে সম্মাননা পান দার। তার হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান। ২০২৩-২৪ মৌসুমের জন্য এলিট প্যানেলের আম্পায়ারদের নাম আইসিসি প্রকাশ করে গত ১৬ মার্চ। তখনই তারা জানায়, এলিট প্যানেল থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন দার। আম্পায়ারিং থেকে অবশ্য অবসরে যাচ্ছেন না দার। এলিট প্যানেলে না থাকলেও সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ও প্রয়োজনে কখনও কখনও টেস্টেও দেখা যেতে পারে তাকে। ২০০২ সালে আইসিসির এলিট প্যানেল প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই এই তালিকায় ছিলেন দার। সাবেক এই লেগ স্পিনারের আন্তর্জাতিক আম্পায়ারিং ক্যারিয়ার শুরু অবশ্য আরও আগে। ২০০০ সালে গুজরানওয়ালায় পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কার ম্যাচ দিয়ে তার শুরু ¯্রফে ৩১ বছর বয়সে। টেস্টে তার পথচলা শুরু হয় ২০০৩ সালে বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে। এরপর প্রায় দুই দশকে আম্পায়ার হিসেবে গৌরবময় পথচলা তার। দীর্ঘ এই ক্যারিয়ারে বেশির ভাগ সময়ই বিশ্বের সেরা আম্পায়ারদের একজন মনে করা হয়েছে তাকে। ২০০৯ থেকে ২০১১ পর্যন্ত টানা তিন বছর তিনি জিতেছেন আইসিসি বর্ষসেরা আম্পায়ারের খেতাব ‘ডেভিড শেফার্ড’ অ্যাওয়ার্ড। টেস্টে এখনও পর্যন্ত রেকর্ড ১৪৫ ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। তার ২২৫ ম্যাচ ওয়ানডেতেও রেকর্ড। তিন সংস্করণ মিলিয়ে তিনি আম্পায়ার হিসেবে দাঁড়িয়েছেন ৪৩৯ ম্যাচে। তার ধারেকাছে এখানে নেই কেউ। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩৩১ ম্যাচে আম্পায়ার ছিলে রুডি কোয়ের্তজেন।