October 6, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, February 3rd, 2023, 8:21 pm

মিরপুরে মালিকের ‘৫০০’

অনলাইন ডেস্ক :

বয়সকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বিশ্বজুড়ে টি-টোয়েন্টি লিগ মাতিয়ে বেড়াচ্ছেন শোয়েব মালিক। পাকিস্তানি তারকা এবারের বিপিএলে খেলছেন রংপুর রাইডার্সের হয়ে। টুর্নামেন্ট শেষ হওয়ার আগেই দেশে ফিরবেন পিএসএল খেলার জন্য। তার আগেই ছুঁয়ে ফেললেন দারুণ এক মাইলফলক। শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে শুক্রবার ঢাকা ডমিনেটর্সের বিপক্ষে ম্যাচটি মালিকের ক্যারিয়ারের ৫০০তম টি-টোয়েন্টি। ২০০৫ সালের এপ্রিলে লাহোরে যাত্রা শুরু করে প্রায় দেড় যুগ পর মিরপুরে দারুণ এই কীর্তি গড়লেন ৪১ বছর বয়সী ক্রিকেটার। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে ৫০০ ম্যাচ খেলা তৃতীয় ক্রিকেটার মালিক। তার চেয়ে বেশি বিশ ওভারের স্বীকৃত ম্যাচ খেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই অলরাউন্ডার কাইরন পোলার্ড (৬১৪) ও ডোয়াইন ব্রাভো (৫৫৬)। ৫০০তম ম্যাচের আগে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে মালিকের রান সংখ্যা ১২ হাজার ২৮০। বিশ ওভারের ক্রিকেটে তার চেয়ে বেশি রান রয়েছে কেবল ক্রিস গেইলের, ১৪ হাজার ৫৬২। এই সংস্করণে ৭৫টি ফিফটি করলেও সেঞ্চুরির দেখা পাননি মালিক। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত তিনি খেলেছেন ১২৪ ম্যাচ। ব্যাট হাতে ২ হাজার ৪৩৫ রানের পাশাপাশি তার শিকার ২৮ উইকেট। জাতীয় দলের হয়ে তার চেয়ে বেশি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন শুধু ভারতের রোহিত শর্মা, ১৪৮টি। ঢাকার বিপক্ষে বিপিএলে নিজের ৫১তম ম্যাচ খেলতে নেমেছেন মালিক। আগের ৫০ ম্যাচে ৮ ফিফটিতে করেছেন ১ হাজার ২৭৬ রান। বিপিএলে বিদেশিদের মধ্যে তার চেয়ে বেশি রান আছে শুধু গেইলের, ১ হাজার ৭২৩। ২০০৫ সালে পাকিস্তানের ঘরোয়া টি-টোয়েন্টি কাপ দিয়ে এই সংস্করণে অভিষেক হয় মালিকের। লাহোর ঈগলসের বিপক্ষে ওই ম্যাচে শিয়ালকোট স্ট্যালিয়ন্সের অধিনায়কত্ব করেন তিনি। ব্যাটিংয়ে ৩৬ বলে ৩৯ ও বল হাতে ৪ ওভারে ২০ রান খরচায় নেন ২ উইকেট। অলরাউন্ড নৈপুণ্যে ক্যারিয়ার শুরু করা মালিকের এই সংস্করণে শক্ত ভিত গড়ে নিতে তেমন সমস্যা হয়নি। পাকিস্তান জাতীয় দল ছাড়াও বিশ্বের বিভিন্ন লিগের ২৬টি দলের হয়ে খেলেছেন মালিক। এই সংস্করণে সর্বোচ্চ ম্যাচ সেরার রেকর্ডেও ওপরের দিকে মালিকের নাম। সবচেয়ে বেশি ৬০ বার এই স্বীকৃতি পেয়েছেন গেইল। পরের নামটি এবি ডি ভিলিয়ার্সের, ৪২ বার। মালিক তিন নম্বরে আছেন ৪১টি ম্যাচ সেরার পুরস্কার নিয়ে। ২০০৫ সালে টি-টোয়েন্টি অভিষেকের পর টানা ৮৯ ম্যাচ শূন্য রানে আউট হননি মালিক। ২০১৯ সাল পর্যন্ত এটিই ছিল রেকর্ড। যা ভেঙে দেন উস্টারশায়ারের বেন কক্স। ক্যারিয়ারের প্রথম ৯৫ ম্যাচ পর শূন্য রানে আউট হন এই কিপার-ব্যাটার।