October 16, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, August 30th, 2023, 3:54 pm

মুরাদনগরে সেতুতে উঠতে দু’পাশে বাঁশের সাঁকো

জেলা প্রতিনিধি, কুমিল্লা (মুরাদনগর):

খালের মাঝ খানে নির্মিত সেতু আছে কিন্তু দু’পাশে নেই কোনো সড়ক। সড়কবিহীন সেতুটি অকেজো হয়ে পড়ে আছে ১বছর ধরে। সেতুটির মূল অংশের কাজ শেষ হলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কোনো সঠিক পরিকল্পনা না থাকায় এটি এখন মরণফাঁদে পরিণত হয়েছে। এ দিকে হায়দরাবাদ, গনীপুর কৈশারসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষ প্রয়োজনে তাগিদে বাঁশের সাকো বানিয়ে সেতুতে উঠে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।

সরজমিনে গুরে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২৯ আগষ্ট) কুমিল্লা জেলা মুরাদনগর উপজেলা ২নং আকুবপুর ইউনিয়ন ও ৩নং আন্দিকোট ইউনিয়ন পরিষদের গনীপুর গ্রাম ও হায়দরাবাদ গ্রাম উত্তর পাড়ায় ঐতিহ্যবাহী সিদ্দিরগঞ্জ বাজার নদী থেকে খাল বয়ে আসা কড়ইবাড়ী গ্রাম হয়ে ঐতিহ্যবাহী রামচন্দ্রপুর বাজার তিতাস নদীতে সংযোগ খালটির গনীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সামনে মোঃ জালাল দারোগা বাড়ীর পাশের এলজিএসপি অর্থয়ানে ৪লাখ ৫৫ হাজার টাকা ব্যায়ে ৩নং হায়দরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন নির্দেশনায় এলজিএসপি’র প্রজেক্ট ম্যানেজার হায়দরাবাদ ইউপির সদস্য মোঃ সোহেল মিয়া ওই খালের মাঝ খানে সেতু নির্মান করেন। সেতুটি খালের মাঝে তৈরী হলেও খালের মাঝ থেকে দুই পার্শে বাঁশের সাকো দিয়ে পারাপার হতে হয় গনীপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কচিকাঁচা ছাত্রছাত্রী শিক্ষক, কৃষক ও এলাকার জনসাধারণ। এছাড়াও ওই খালের ২ থেকে ৩টি স্থানে দখলদাররা খালের মাঝে বাদ দিয়ে মাছ চাষ করে আসছে।

নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা কয়েকটি গ্রামের মানুষ খবই অবহেলিত। আমাদের গ্রামের নেই উন্নত মানের যোগাযোগ ব্যবস্থা। সেতুতে সংযোগ সড়ক না থাকায় আমাদের চরম দুর্ভোগের মধ্যে চলাচল করতে হচ্ছে। খালের মাঝে বাধ দিয়ে খালটিতে পানির চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালীরা।
কৃষক মাসুম মিয়া বলেন, এই সড়কের সেতুটি সাথে সড়কের সংযোগ না থাকায় উৎপাদিত কৃষিপণ্য পরিবহনে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বাঁশের সাকো তৈরি করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে।

৩নং দায়দরাবাদ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জাকির হোসেন বলেন, এলজিএসপি -৩ সেতুর কাজটি আমি করেছি। ৪লাখ ৫৫ হাজার টাকার কাজ। বর্ষার জন্য সেতুর দুই পাশে মাটি ভরাট করতে পারি নাই। বর্ষা শেষ হলেই মাটি ভরাটের কাজ করবো।
এবিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা প্রকৌশলী অফিসার (এলজিইডি) রায়হানুল আলম বলেন, এ বিষয়ে তার জানা নেই। এই কাজটি কুমিল্লা। এখানে আমার কোন দায়িত্ব নেই? কুমিল্লা যোগাযোগ করেন।
মুরাদনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) মোহাম্মদ আলাউদ্দিন ভূঁইয়া জনী বলেন, তিনি জনগণের দুর্ভোগ লাগবের জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নেবেন।