অনলাইন ডেস্ক :
ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসের প্রধান ইসমাইল হানিয়েহ রয়টার্সকে বলেছেন, ইসরায়েলের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তির কাছাকাছি রয়েছেন তারা। গাজায় তীব্র হামলা অব্যাহত রেখেছে ইসরায়েল। অপরদিকে ইসরায়েলে রকেট হামলা চালাচ্ছে হামাস। ইসমাইল হানিয়াহ তার এক সহযোগীর মাধ্যমে রয়টার্সকে পাঠানো এক বিবৃতিতে বলেন, হামাস কর্মকর্তারা ইসরায়েলের সঙ্গে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর দ্বারপ্রান্তে রয়েছে এবং কাতারের মধ্যস্থতাকারীদের কাছে তারা তাদের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। ওই বিবৃতিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানানো হয়নি। তবে হামাসের এক কর্মকর্তা আল জাজিরাকে বলেন, যুদ্ধবিরতি কতদিন স্থায়ী হবে, গাজায় ত্রাণ বিতরণের ব্যবস্থা এবং ইসরায়েলে ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে হামাসের হাতে বন্দী ইসরায়েলি জিম্মিদের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
আসাত আল রাশিক নামের ওই কর্মকর্তা বলেন, দুই পক্ষই নারী এবং শিশুদের মুক্ত করে দেবে। এ বিষয়ে কাতারের পক্ষ থেকে বিস্তারিত তথ্য জানানো হবে। দুপক্ষের মধ্যে মধ্যস্থতার কাজ করছে কাতার। গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে আকস্মিক হামলা চালায় হামাস। সে সময় ২৪০ জনকে জিম্মি হিসেবে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয় এবং হামাসের হামলায় ১২০০ জন নিহত হয়। এরপরেই গাজায় পাল্টা হামলা শুরু করে ইসরায়েলি বাহিনী। এখন পর্যন্ত নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলি হামলা অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে গাজায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় প্রায় ৮৩টি মসজিদ ধ্বংস হয়ে গেছে। এ ছাড়া আরও ১৭০টি মসজিদ পুরোপুরি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকার রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। ফিলিস্তিনিদের অভিযোগ, ইসরায়েলি বাহিনী ইচ্ছাকৃত ভাবেই মসজিদে হামলা চালাচ্ছে। অপরদিকে ইসরায়েলি বাহিনীর দাবি মসজিদগুলো আশ্রয় হিসেবে ব্যবহার করে সেখান থেকে হামলা চালাচ্ছে হামাস। অপরদিকে গাজার নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় ১৭ জন নিহত হয়েছে। ফিলিস্তিনি বার্তা সংস্থা ওয়াফার তথ্য অনুযায়ী, মধ্যরাতের ওই বিমান হামলায় নিহতদের মধ্যে নারী এবং শিশুও রয়েছে।
আরও পড়ুন
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ
হারিকেন হেলেনে যুক্তরাষ্ট্রে অন্তত ৯০ জনের মৃত্যু