নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর :
রংপুর র্যাবের অভিযানে অটো চালককে গলাকেটে হত্যা ও অটোরিক্সা ছিনতাইয়ের ঘটনায় প্রধান আসামী সুজন চৌধুরীসহ (৪০) ২ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার দিবাগত রাতে নগরীর পার্কের মোড় এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সুজন নগরীর আশরতপুর ঈদগাহপাড়া গ্রামের বাবুল চৌধুরীর ছেলে।
সোমবার বিকেলে র্যাব-১৩ এর অধিনায়ক রেজা আহমেদ ফেরদৌস সংবাদ সম্মেলনে জানান, প্রতিদিনের মত গত ৫ সেপ্টেম্বর অটোচালক সুলতান মিয়া নিজ বাড়ি মিঠাপুকুর ভাংনী ইউনিয়ন থেকে বিকেল ৩টায় অটোরিক্সা নিয়ে নগরীর পার্কের মোড় এলাকায় আসেন। সেখানে সুজন ও তার সহযোগি লালমনিরহাট জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার কাকিনার নজরুল ইসলামের ছেলে মমিনুর ইসলাম (২৯) সুলতানের অটোরিক্সাটি ভাড়া নেন এবং যতক্ষন পর্যন্ত অটোরিক্সা চার্জ থাকবে ততক্ষন ঠিক করেন। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী অটোচালক সুলতানকে খাবার খাইয়ে পার্কের মোড় থেকে মহিপুর ব্রীজের উপর দিয়ে লালমনিরহাটের কালিগঞ্জের দিকে নিয়ে যায় সুজন ও মমিনুর। সেখানে চা সিগারেট খাওয়ার বাহানা করে সময়ক্ষেপন করে তারা। রাত সাড়ে ১১টার দিকে সুজন ও মমিনুর ছুরি দিয়ে গলা কেটে সুলতানের লাশ তিস্তা সেচ ক্যানেলে ফেলে দেয়। পরদিন সকালে স্থানীয়রা লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ সুলতানের পরিবারের সদস্যদের খবর দিলে তারা ঘটনাস্থলে এসে লাশটি শনাক্ত করে এবং কালিগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার পর থেকে ছায়া তদন্ত শুরু করে র্যাব। এরই প্রেক্ষিতে রোববার রংপুর নগরীতে অভিযান চালিয়ে সুজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। এরপর তার দেয়া তথ্য অনুযায়ী কালিগঞ্জ থেকে মমিনুরকে গ্রেফতার করা হয়। তাদের দু’জনের তথ্য মতে, ১৭ হাজার টাকা বিক্রি করা সুলতান মিয়ার অটোরিক্সাটি কালিগঞ্জ মহিষামুড়ির জহুরুল ইসলামের ছেলে সাদেকুল ইসলামের (৩০) কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি উদ্ধার করেছে র্যাব। আসামীদের লালমনিরহাট থানায় হস্তান্তরের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন
সাগর-রুনি হত্যা মামলা তদন্তে উচ্চ পর্যায়ের টাস্কফোর্স গঠনের নির্দেশ
সাইবার আইনের মামলা প্রত্যাহার হচ্ছে, গ্রেপ্তাররা মুক্তি পাচ্ছেন
সাবেক এমপি সুজনের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ