November 6, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, March 16th, 2023, 3:55 pm

রংপুরে ন্যায় বিচারের দাবিতে সংবাদ সস্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক, রংপুর :

রংপুর নগরীর ৪ নং ওয়ার্ড আমাশু কুকরুলের ফারদিন আল জিহাদ (১৩) বছরের শিশুকে ফুঁসলিয়ে ও বিভিন্ন ধরণের ভয়ভীতি দেখিয়ে আমিনুর ইসলাম মিলিটারী (৬৮) বছরের বৃদ্ধার দ্বারা বলাৎকার মামলায় আসামিকে বেকসুর খালাস প্রদানের পরিপেক্ষিতে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে । গত ০৪-১১-২০২১ তারিখে শিশু জিহাদকে আমিনুর ইসলাম মিলিটারী বলাৎকার করার সময় এলাকাবাসী হাতেনাতে ধরে পুলিশে সোপর্দ করেন। এ ঘটনা পরে থানায় মামলা হয়। যার মামল নং- ০৩ ধারা- ৯ (১)
গতকাল বুধবার দিকে মামলার বাদী নিজ বাড়িতে ন্যায় বিচারের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলন করেন।সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে, মামলার বাদী জীবন নাহার বলেন, আমার ছেলেকে বলাৎকার করা মামলার গত ১২-০৩-২০২৩ তারিখে নারী শিশু কোর্ট ১ এ রায় হয়।আমার করা মেট্রো পরশুরাম থানার মামলায় প্রথম তদন্তকারী এসআই কারিবেল আসামির দ্বারা প্ররোচিত হয়ে ফারদিন আল জিহাদকে ফরেনসিক পরীক্ষার পূর্বে সকলের অগোচরে থানার ব্যারাকে সাবান দিয়ে জোর করে গোসল করায়। গোসল করার খবর শুনে বাদী পক্ষ তৎখানিক ভাবে বিক্ষভ করলে উপ পুলিশ কমিশনার আরিফুজ্জামান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এস আই কারিবেলকে সময়িক ক্লোজড করে পুলিশ লাইনে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে দ্বিতীয় তদন্তকারী হিসেবে আবু মুসা কে দায়িত্ব দেন। সেই সময় এসআই কারিবেলের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা হয়।
আসামীর আলামত হিসেবে প্রথম মোবাইল ফোনের ভিতরে সংযুক্ত মেমোরি কার্ডে বিতর্কিত কণ্ঠস্বরের সাথে দ্বিতীয় মোবাইল ফোনের মেমোরি কার্ডে সংরক্ষিত আমিনুল ইসলামের নমুনা কণ্ঠস্বরে মিল পাওয়া সত্ত্বেও সিআইডি সেই কর্মকর্তাকে সাক্ষী হিসেবে কোর্টে তলব করা হয়নি।মেডিকেল রিপোর্ট একই তারিখে দুই রকম ফরেনসিক রিপোর্ট প্রদান করায় মামলার আইও আবু মুসা চার্জসিটে মন্তব্য করে বলেন, ভিকটিমকে গোসল করায় তার রেখটাল সোয়াবে কোন শুক্রাণু পাওয়া যায় নি। একই সাথে হাতের লেখা ছোট বড় (দুই সাইজের), যা মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্টের মত গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্টের সাথে অসঙ্গতিপূর্ণ।
আমার করা মামলা ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে প্রধান দুই সাক্ষীর সাক্ষ্য ছাড়াই কোর্ট কিভাবে রায় দেয় । আমার মামলায় নিয়োজিত সরকারি আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট খন্দকার রফিক হাসনাইন বিবাদীদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে মামলাটিকে ভিন্ন খাতে নিয়ে যায় এবং চূড়ান্ত রায়ের দিন রফিক হাসনাইন কোন কথা বলেনি।তিনি আরো বলেন, আমি ন্যায় বিচার পেতে হাইকোর্টে আপিল করার জন্য সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করছি।
এ বিষয়ে জানার জন্য নারী শিশু কোর্টের সরকারি আইনজীবী (পিপি) অ্যাডভোকেট খন্দকার রফিক হাসনাইন বলেন, পিপির দায়িত্ব থাকে আগ্রুমেন্ট পর্যন্ত তা আমি যথাযথ ভাবে দায়িত্ব পালন করেছি। চার্জশিটে সাক্ষীর নামের তালিকা ছিল। সেই তালিকা থেকে কোর্ট সাক্ষীদেরকে তলব করেছে। কোর্ট কোন সাক্ষীকে তলব করবে না করবে সেটা কোর্টের ব্যাপার। এক্ষেত্রে আমি কিছু জানি না। চূড়ান্ত রায়ের দিন পিপি কোন কথা বলে না।