নিজস্ব প্রতিবেদক , রংপুর :
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ,নির্দলীয় নিরপেক্ষ তদারকি সরকারের অধীনে নির্বাচন, বিরোধী দলের উপর সকল প্রকার দমন নিপীড়ন বন্ধ, শ্রমজীবীদের রেশন চালু ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসনের বদলে বাম বিকল্প গড়ার আহবান জানিয়ে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় প্রেসক্লাব সামনে বাম গণতান্ত্রিক জোট রংপুর জেলার উদ্যোগে মনববন্ধন সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রংপুর জেলা বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতা ও বাসদ মার্কসবাদী আহবায়ক কমরেড আনোয়ার হোসেন বাবলু ,বাসদের জেলা সদস্য সচিব কমরেড মমিনুল ইসলামসহ প্রমুখ ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, বর্তমান সরকার নৈশকালীন ভোটের মাধ্যমে ক্ষমতায় এসে জনজীবনকে দুর্বিষহ করে তুলেছে। জনগণের প্রতি ন্যূনতম কোন দায় বহন না করে বরং প্রতিনিয়ত গুটিকয়েক লুটেরা ব্যবসায়ীদের স্বার্থে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য চাল,ডাল,তেল, চিনি,ওষুধ, সার,ডিজেল,কীটনাশকসহ সকল পণ্যের দাম ক্রমাগত বৃদ্ধি করে চলেছে। ইতোমধ্যে আবারো পাইকারি পর্যায়ে বিদ্যুতের মূল্য ২০% বৃদ্ধির পর খুচরা পর্যায়েও তা বৃদ্ধির পায়তারা করছে। দেশের ৯০ ভাগ মানুষের অস্থিমজ্জা নিঙড়ে সরকারদলীয় কিছু ব্যবসায়ী, পুঁজিপতিদের পকেট ভারী করছে।তারা দেশের বাইরে টাকা পাচার করে নামে বেনামে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছে।ব্যাংকের টাকা,সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় রেন্টাল-কুইক রেন্টালে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে বিদ্যুৎ খাতে গত ১২ বছরে ৮৬ হাজার কোটি টাকা মেরে দিয়ে তার দায় জনগণের কাধে চাপিয়ে দিয়েছে।দেশে নতুন করে কর্মসংস্থান সৃষ্টি না করে তার বিপরীতে ২৬টি পাটকল,৬টি চিনিকল বন্ধ করেছে। চা বাগান,গার্মেন্টসসহ সকল ক্ষেত্রে গণতান্ত্রিক প্রতিবাদের বিরুদ্ধেও শাসকগোষ্ঠী দমন পীড়ন তীব্রতর করেছে।সরকার যেকোনো উপায়ে আবারও ক্ষমতায় আসতে আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনকে ব্যবহার করছে । করোনায় অনেক শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়েছে,শিক্ষার মান নিম্নগামী হয়েছে, শিক্ষা উপকরণের দাম বেড়েছে অথচ এ নিয়ে সরকারের কোনো মনোযোগ নেই।এই রংপুর সিটি কর্পোরেশনেই ভূমিহীন গৃহহীন মানুষের সংখ্যা প্রায় অর্ধ লক্ষ।প্রধানমন্ত্রী টেলিভিশনে প্রতিনিয়ত বলে যাচ্ছে কেউ ভূমিহীন গৃহহীন থাকবে না।অথচ এই সিটিতে এখনো কোন কার্যকর পদক্ষেপ নেয় নি।নেতৃবৃন্দ দাবি করে বলেন সরকার অগণতান্ত্রিকভাবে বিরোধী দলের উপর চলমান সকলপ্রকার দমন-পীড়নকে ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।সমাবেশ থেকে বক্তারা সামনে যে সংসদ নির্বাচন আসছে তার আগেই সংসদ ভেঙে দিয়ে নির্দলীয় তদারকি সরকারের অধীনে সংখানুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থা চালু করতে হবে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি