জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
সিলেটের জকিগঞ্জে লাশ উদ্ধারের ৬ দিন পেরিয়ে গেলেও শাম্মী আক্তার (৭) হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটন করতে পারে নি পুলিশ। ঘটনার রহস্য উদঘাটনে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে তৎপরতা চালানো হচ্ছে বলে জানানো হলেও ৫দিনেরও রহস্য উদঘাটন না হওয়ায় ক্ষোভ বিরাজ করছে স্থানীয়দের মধ্যে। দ্রুত শিশু শাম্মী হত্যাকা-ের রহস্য উদঘাটন করে এর সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন উপজেলাবাসী।
নিহত শাম্মী ভরন মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেনীর ছাত্রী ও জকিগঞ্জ সদর ইউপির মানিকপুর গ্রামের আজমল হোসেনের মেয়ে। আজমল হোসেন জকিগঞ্জ থানার বাবুর্চি। বর্তমানে তিনি পৌর এলাকার পীরেরচক গ্রামে ভাড়া বাসায় বসবাস করেন।
জানা যায়, নিখোঁজের ৫দিন পর গত শুক্রবার সন্ধ্যায় উপজেলার পৌর এলাকার কেছরী গ্রামের একটি পরিত্যক্ত ডোবায় বস্তাবন্দী অবস্থায় তার লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে জকিগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে থানা পুলিশ ও পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর সমন্বয়ে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরির পর লাশ ময়না তদন্তের জন্য সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়।
ময়না তদন্ত শেষে পরদিন তার লাশ দাফন করা হয়। এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর খেলার উদ্দ্যেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়ে নিখোঁজ হয় শাম্মী। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজখুজির পর না পেয়ে নিখোঁজের বিষয়ে সাধারণ ডায়রি করা হয়। এর ৫দিন পর ডোবা থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়।
এঘটনায় নিহত শিশু শাম্মীর পিতা আজমল হোসেন বাদী হয়ে জকিগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন। এর পর লাশ উদ্ধারের বিভিন্ন সূত্রে ধরে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে থানা পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও জকিগঞ্জ থানার ওসি (তদন্ত) সুমন চন্দ্র সরকার বলেন, এ ঘটনার রহস্য উদঘাটনে আমরা কাজ করছি।
জকিগঞ্জ থানার ওসি মো.মোশারফ হোসেন বলেন, পুলিশ বিভিন্ন দিক মাথায় রেখে তদন্ত কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি