নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় মাদকবিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মাদক বিক্রি ও সেবনের অভিযোগে ৭০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) বিভিন্ন অপরাধ ও গোয়েন্দা বিভাগ। গত রোববার ভোর ৬টা থেকে সোমবার (১৭ জানুয়ারী) ভোর ৬টা পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় ইয়াবা, হেরোইনসহ বিভিন্ন মাদকদ্রব্য উদ্ধার করা হয়। সকালে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, গ্রেপ্তার ৭০ জনের কাছ থেকে ৬ হাজার ৪৬০ পিস ইয়াবা, ১১২ গ্রাম ১৭৭ পুরিয়া হেরোইন, ১৪ কেজি ৮৯০ গ্রাম ১৪৭ পুড়িয়া গাঁজা, ১০টি নেশাজাতীয় ইনজেকশন, ১ গ্রাম আইস ও ১৮ বোতল ফেনসিডিল জব্দ করা হয়। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৫৪টি মামলা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এই কর্মকর্তা।
বিয়ার-মদসহ তিনজন আটক: রাজধানীর গুলশান ও বনানী এলাকায় পৃথক অভিযান পরিচালনা করে বিয়ার ও মদসহ তিন কারবারিকে আটক ও পরিবহনে ব্যবহৃত দুটি প্রাইভেটকার জব্দ করেছে এলিট ফোর্স র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। র্যাব বলছে, আটকরা পেশায় প্রাইভেটকারের চালক হলেও তারা মাদককারবারির কাছ থেকে সংগ্রহ করে রাজধানীর বিভিন্ন জায়গায় সরবরাহ করে আসছিলেন। র্যাব-১ এর সহকারী পরিচালক (মিডিয়া অফিসার) সহকারী পুলিশ সুপার নোমান আহমদ এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, প্রাইভেটকারে বিদেশি মদ ও বিয়ারসহ রাজধানীর অভিজাত গুলশান ও বনানী এলাকায় কয়েকজন মাদককারবারি অবস্থান করছে জানতে পেরে অভিযানে যায় র্যাব-১ এর একটি দল। গত রোববার সন্ধ্যায় গুলশান থানাধীন শুটিং ক্লাব, পানির পাম্পের সামনে অভিযান পরিচালনা করে একজনকে আটক করা হয়। তিনি মাদককারবারি। নাম জাহিদ হাসান হৃদয় (২৭)। বাড়ি কুমিল্লায়। আটককালে তার কাছ থেকে ১০৬৯ ক্যান বিয়ার, ২৪ বোতল বিদেশি মদ, একটি প্রাইভেটকার ও দুটি মোবাইল উদ্ধার করা হয়। র্যাব-১ এর অপর একটি অভিযানে একই দিন বিকেলে বনানী থানাধীন মহাখালী টিবি গেট সংলগ্ন ব্র্যাক ইউনিভার্সিটির সামনে অভিযান পরিচালনা করে মো. রিপন (৩৫) ও মনির হোসেন (৩৫) নামে দুই মাদককারবারিকে আটক করা হয়। আটককালে ১২০ ক্যান বিয়ার, ২৪ বোতল বিদেশি মদ, একটি প্রাইভেটকার ও দুটি মোবাইল ফোনসহ জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটকদের দেওয়া তথ্যের বরাতে এএসপি নোমান বলেন, তারা একটি সংঘবদ্ধ মাদককারবারি চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা পেশায় প্রাইভেটকারচালক। দীর্ঘদিন ধরে এই মাদককারবারি ও পরিবহনের সঙ্গে জড়িত। মাদক সংগ্রহ করে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন জায়গায় বিক্রেতাদের কাছে সরবরাহ করত। উদ্ধারকৃত মাদকদ্রব্য ও আটকদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান র্যাবের এই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম