October 3, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, November 17th, 2021, 9:55 pm

রাজধানীর বিভিন্ন রুটে বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন পরিবহন শ্রমিকরা

ভাড়া নৈরাজ্য। অতিরিক্ত ভাড়া নিয়ে যাতীদের চাপে পড়ে ফেরত দিতে বাধ্য হয় বাড়তি ভাড়া। ছবিটি বুধবার বিজয় স্বরণী থেকে তোলা।

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সম্প্রতি জ্বালানি তেলের দাম বাড়ার কারণে গণপরিবহনে ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়েছে। এদিকে ১৪ নভেম্বর থেকে নগরীতে কোনো ধরনের ‘সিটিং সার্ভিস’ অথবা ‘গেটলক সার্ভিস’ বাসের চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি। অপরদিকে ভাড়া বাড়ানোর কারণে প্রায় প্রতিদিনই সাধারণ যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের সঙ্গে বাকবিতন্ডার পরিস্থিতিও তৈরি হচ্ছে। সর্বোপরি এসব বিষয়ের কারণে রাজধানীর বিভিন্ন রুটের বাস চলাচল বন্ধ রেখেছেন পরিবহন শ্রমিকরা। একদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে।

বাসের ভাড়া বৃদ্ধির কারণে শিক্ষার্থীদের যাতায়াতে অনেক সমস্যা হয় তাই ‘হাফপাস’ এর দাবীতে বুধবার সকালে মহাখালীর আমতলীতে শিক্ষার্থীরা বাস থামিয়ে যাত্রীদের বাস থেকে নামিয়ে দিচ্ছে আর বাস আটকে রাখছে।

পরিবহন শ্রমিকরা বলছেন, জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর পর পরিবহন মালিক সমিতির নেতারা বিআরটিএর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে দূরপাল্লার পরিবহন ও নগরীর গণপরিবহনের ভাড়া বৃদ্ধি করেছে। তারা বাড়িয়েছে ২৭ শতাংশ অপরদিকে নতুন ভাড়ার ওপর সিটিং বাসগুলো ভাড়া নির্ধারণ করেছে ১৫ শতাংশ। এই নিয়ে পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে মতের অমিল হওয়ার কারণে ঝামেলার সৃষ্টি হয়েছে। পরিবহন চালক-হেলপাররা বলছেন, প্রতিদিনই যাত্রীদের সঙ্গে ভাড়া নিয়ে তর্ক ও ঝগড়া হচ্ছে। নতুন ভাড়া অনুযায়ী যাত্রীরা দিতে চাচ্ছে না। এদিকে পরিবহনের মালিকরাও পরিবহনের জমা ভাড়ার সঙ্গে মিলিয়ে নিতে চাচ্ছেন। এখন গাড়ি নিয়ে বের হয়ে দিনে ৪টি ট্রিপ দিলে তেল খরচসহ সব মিলিয়ে আমাদের বেতনও ওঠে না। এতে আমরাও বিপাকে পড়েছি। তাই বাধ্য হয়ে আমরা গাড়ি বন্ধ রেখেছি। পরিবহন শ্রমিক ও মালিকরা এই বিষয়ে বসে আলোচনা করে একটি সিদ্ধান্ত দিলে আগের মতো গাড়ি চলবে বলে জানিয়েছেন। মনজিল এক্সপ্রেস পরিবহনের অধিকাংশ বাস বন্ধ রয়েছে। এই পবিহনের কয়েকটি বাসের মালিক মো. সুমন বলেন, পরিবহন শ্রমিক ও মালিকদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা কথা রয়েছে বুধবার (১৭ নভেম্বর)। সেখানে আমরা সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছি। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ যে সিদ্ধান্ত দিবেন সে অনুযায়ী আমরা চলবো।