October 6, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Saturday, March 19th, 2022, 7:46 pm

রাজশাহীতে এবার আম উৎপাদনে রেকর্ড ছাড়ানোর আশা

এবার রাজশাহীর কোনো কোনো আমগাছ মুকুলে ছেয়ে গেছে, আবার কোনো গাছে মাঝারি পরিমাণে মুকুল রয়েছে। এ বছরের তুলনায় গত বছর গাছগুলোতে প্রচুর পরিমাণে মুকুল এলেও, এবার আম উৎপাদনে রেকর্ড ছাড়ানোর আশা করছেন রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্র। জেলার আম চাষিরাও ভালো ফলন পাওয়ার আশা করছেন।

রাজশাহী কৃষি বিভাগের তথ্যমতে, চলতি ২০২১-২২ মৌসুমে রাজশাহী জেলায় ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। এবার রাজশাহী জেলায় প্রায় ৫৭২ হেক্টর জমিতে আমের চাষ বেড়েছে। বর্তমানে গাছগুলোতে মুকুল থেকে আমের গুটি হতে শুরু করেছে।

রাজশাহী কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত উপপরিচালক আবদুল্লাহ হিল কাফী জানান, গত ২০২০-২১ মৌসুমে আমবাগান ছিল ১৭ হাজার ৯৪৩ হেক্টর জমিতে। হেক্টরপ্রতি গড় ফলন হয়েছিল ১২ দশমিক ১০১ মেট্রিক টন। সম্ভাব্য উৎপাদন হয়েছিল দুই লাখ ১৭ হাজার ১২৮ দশমিক ২৪ মেট্রিক টন আম।

রাজশাহী জেলা জুড়ে আম বিক্রি হয়েছিল প্রায় ৮৬ কোটি ৮৫ লাখ ১২ হাজার টাকার। আর গত ২০১৯-২০ অর্থবছরে রাজশাহীতে আম বাগান ছিল ১৭ হাজার ৬৮৬ হেক্টর জমিতে। হেক্টরপ্রতি গড় ফলন হয়েছিল ১১ দশমিক ৯৬ মেট্রিক টন। সম্ভাব্য উৎপাদন হয়েছিল এক লাখ ৭৯ হাজার ৫৪০ দশমিক ৫৩ মেট্রিক টন আম। যার বিক্রয় মূল্য ছিল প্রায় ৭১ কোটি ৮১ লাখ ৬২ হাজার ১২০ টাকা।

রাজশাহী ফল গবেষণা কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড.আব্দুল আলীম বলেন, চলতি ২০২১-২২ মৌসুমে রাজশাহী জেলায় ১৮ হাজার ৫১৫ হেক্টর জমিতে আমবাগান রয়েছে। হেক্টরপ্রতি গড় ফলন ধরা হয়েছে ১৫ দশমিক ৫৮ মেট্রিক টন। গতবারের চেয়ে জেলায় এবার ৫৭২ হেক্টর জমিতে আমচাষ বেশি হওয়ায় উৎপাদন অন্য যে কোনো সময়ের রেকর্ড ভাঙবে বলে মনে করছেন এই বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা।

ড. আব্দুল আলীম বলেন, চলতি মৌসুমে আমের জন্য আবহাওয়া এখনও বেশ অনুকূলে রয়েছে। গত বর্ষা মৌসুমে প্রচুর বৃষ্টি হওয়ায় মাটি পর্যাপ্ত পানি পেয়েছে। আবার অনেক কৃষক সবজি চাষের পাশাপাশি জমিতে আমগাছ লাগিয়েছেন। এতে গাছ পর্যাপ্ত পুষ্টি পেয়েছে। এসব কারণে মুকুলও বেশি দেখা যাচ্ছে। তবে গতবারের চেয়ে কম মুকুল এসেছে গাছে।

জেলার চারঘাট এলাকার আমচাষি আবুল হোসেন বলেন, আমার ২০ বিঘার মতো আমের বাগান রয়েছে। এবার গাছে ভালো মুকুল রয়েছে। মুকুলে গুটিও হতে শুরু করেছে। গত বছর এবারের চেয়ে বেশি মুকুল আসলেও ফলন এবারও কম হবে না। আবহাওয়া অনুকূল থাকলে ফলন ভালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন,গতবারও আমের ফলন খুব ভালো ছিল। করোনা ও লকডাউনের কারণে সেই তুলনায় চাষিরা দাম পাননি। এবার রোজা ঈদ শেষেই পাওয়া যাবে গাছপাকা আম। আর তাই সব দিক থেকেই এবার আম চাষিরা লাভবান হবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।

—ইউএনবি