July 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, June 4th, 2024, 7:57 pm

রাজার বেশে আরুদুজ্জামানের বিদায়

অনলাইন ডেস্ক :

টানা চতুর্থ বারের মতো বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক কাবাডি টুর্নামেন্টের শিরোপা জেতেন লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা। ফাইনালে হিমালয়ের দেশ নেপালকে ৪৫-৩১ পয়েন্টের বড় ব্যবধানে হারায় বাংলাদেশ। এই ম্যাচের মধ্য দিয়ে নিজের কাবাডি ক্যারিয়ারকে বিদায় জানিয়েছে দিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক আরুদুজ্জামান মুন্সী। মিরপুর শহীদ সোহরাওয়ার্দী ইনডোর স্টেডিয়ামে গত রোববার ফাইনাল ম্যাচ দেখতে উপস্থিত ছিলেন প্রায় ১৫ হাজার দর্শক।

এদিন টানা চতুর্থ বারের মতো এই টুর্নামেন্টে শিরোপাজয়ের পর যখন সব খেলোয়াড় উল্লাসে মাতোয়ারা, তখন ব্যতিক্রম ছিলেন অধিনায়ক আরুদুজ্জামান। তার চোখ তখন অশ্রুসিক্ত। প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জীবনের সবচেয়ে কঠিনতম দিন এটিই। তখন তাকে দেখে মনে পড়ে যায় সেই বিখ্যাত লাইন, ‘চলে যেতে মন নাহি চায়, তবু চলে যেতে হয়।’ ম্যাচ শেষে সতীর্থদের কাঁধে চড়ে পুরো মাঠ প্রদক্ষিণ করেন আরুদুজ্জামান। তখন তার গলায় ছিল গাধা ফুলের মালা, হাতে ছিল ফুলের তোড়া। তখন তাকে দেখে মনে হচ্ছিল রাজ্য জয় করে সৈনিকের কাঁধে চড়ে ফিরছেন কোনো অপরাজিত রাজা। তবে এই একটি দিক দিয়ে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করতেই পারেন আরুদুজ্জামান।

কেননা, বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে মাঠ থেকে সতীর্থদের কাঁধে চড়ে এমন মধুর বিদায় নেওয়ার নজির খুবই কম। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার ওঠে আরুদুজ্জামানের হাতে। তখনো তার চোখে দেখা যায় বিদায়ের অশ্রু। ম্যাচসেরার পুরস্কার নেওয়ার পর তিনি কান্নামিশ্রিত কণ্ঠে বলেন, ‘গত রোববার সারা রাত ঘুমাতে পারিনি। লাল-সবুজের জার্সি পরে আর খেলব না-এটা ভেবে খুব কষ্ট হচ্ছিল। আজ হোক কাল হোক, তার পরও তো বিদায় নিতে হবেই। শেষ পর্যন্ত সুন্দরভাবে বিদায় নিতে পেরেছি, এজন্য আমি খুশি।’

এর আগে ২০০৯ সালে কাবাডি জাতীয় দলের হয়ে অভিষেক হয় আরুদুজ্জামানের। ১৫ বছরের দীর্ঘ ক্যারিয়ারে ইন্দোর এশিয়ান গেমস, ২০১০ এসএ গেমস, এশিয়ান গেমস, ইন্দো-বাংলাদেশ গেমস, ২০১৪ বিচ গেমস, এশিয়ান গেমস, প্রো-কাবাডি, ২০১৬ এসএ গেমস, ২০১৬ বিশ্বকাপ, প্রো-কাবাডি, ২০১৮ এশিয়ান গেমস এবং ২০২১-২০২৪ পর্যন্ত চারটি বঙ্গবন্ধু কাপ কাবাডি টুর্নামেন্টের শিরোপা জিতেছেন তিনি।