রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) অধ্যাপক এস তাহের আহমেদকে হত্যার দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামির ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার রাতে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে তাদের ফাঁসি কার্যকর করা হয়।
ফাঁসির আসামিরা হলেন- রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতত্ত্ব ও খনি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডক্টর মিয়া মোহাম্মদ মহিউদ্দিন এবং অধ্যাপক এস তাহেরের বাড়ির তত্ত্বাবধায়ক মো. জাহাঙ্গীর আলম।
রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারের কারারক্ষী নিজাম উদ্দিন ভূঁইয়া জানান, রাত ১০টা ০১ মিনিটে তাদের একযোগে তাদের ফাঁসি দেওয়া হয়।
ফাঁসি কার্যকরের সময় উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, জেলা পুলিশ সুপার এবিএম মাসুদ, জিআইজি প্রিজন কামাল হোসেন, রাজশাহী সিভিল সার্জন আবু সাইদ মো. ফারুক, উপ-পুলিশ কমিশনার আব্দুল রকিব প্রমুখ।
২০২২ সালের ৫ এপ্রিল আপিল বিভাগ এই মামলায় তাদের মৃত্যুদণ্ড এবং অন্য দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন।
যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- তত্ত্বাবধায়ক জাহাঙ্গীর আলমের আত্মীয় নাজমুল আলম ও আবদুস সালাম।
২০০৬ সালের ১ ফেব্রুয়ারি নিখোঁজ হওয়ার দু’দিন পর অধ্যাপক তাহেরের লাশ তার বাড়ির পাশের একটি ড্রেন থেকে উদ্ধার করা হয়।
গত ৩ ফেব্রুয়ারি তার ছেলে সানজিদের অভিযোগে রাজশাহীর মতিহার থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়।
২০০৮ সালের ২২ মে রাজশাহীর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল এ মামলায় চারজনকে মৃত্যুদণ্ড দেয় এবং রাবি ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মাহবুবুল আলম সালেহীসহ দুইজনকে খালাস দেয়।
পরবর্তীতে ২০১৩ সালের ১৩ মে হাইকোর্ট মহিউদ্দিন ও জাহাঙ্গীরের মৃত্যুদণ্ড বহাল রাখলেও সালাম ও নাজমুলের মৃত্যুদণ্ড কমিয়ে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেন।
—-ইউএনবি
আরও পড়ুন
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় নিতে আগ্রহী অন্তর্বর্তীকালীন সরকার: নাহিদ ইসলাম