অনলাইন ডেস্ক :
ইউক্রেন আক্রমণের পর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া সত্ত্বেও রাশিয়ার থেকে আগের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি তরল গ্যাস কিনেছে ইউরোপের দেশগুলো। দ্যা গার্ডিয়ান জানিয়েছে, সরবরাহ কমানোর প্রচেষ্টা সত্ত্বেও ইউক্রেনে আক্রমণের পর থেকে রাশিয়ান তরল প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) এর চাহিদা বেড়েছে ইউরোপের দেশগুলোতে। সদস্য দেশগুলো এই বছরের প্রথম সাত মাসে তাদের আমদানি করা অর্ধেকেরও বেশি এলএনজি কিনেছে রাশিয়ার কাছ থেকে। ইউরোপে রাশিয়ার এলএনজি আসে স্পেন ও বেলজিয়াম হয়ে। এ দুটি দেশই এখন পর্যন্ত চীনের পর রাশিয়ার গ্যাস বেশি কিনেছে।
দুর্নীতিবিরোধী গ্রুপ গ্লোবাল উইটনেসের সিনিয়র জীবাশ্ম জ্বালানি প্রচারক জনাথান নরোনহা-গান্ট বলেছেন, ইইউ’র দেশগুলো বর্তমানে রাশিয়ার বেশিরভাগ গ্যাস কিনছে যা ক্রেমলিনের আয়ের একটি বড় উৎসে পরিণত হয়েছে। ইউক্রেনে হামলার পর ইউরোপে পাইপলাইন দিয়ে সরবরাহ করা রাশিয়ার গ্যাসের চাহিদা শূন্যের কাছাকাছি নেমে যায়। তবে রাশিয়ার তরল গ্যাস সরবরাহ বেড়েই চলেছে কারণ রাশিয়ার এলএনজির ওপর ইউরোপীয় ইউনিয়নের কোন নিষেধাজ্ঞা নেই। গ্লোবাল উইটনেস জানিয়েছে, ইউরোপের দেশগুলো ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে জুলাই পর্যন্ত রাশিয়ার কাছ থেকে ২২ মিলিয়ন কিউবিক মিটার এলএনজি কিনেছে। ২০২১ সালে যার পরিমাণ ছিল ১৫ মিলিয়ন কিউবিক মিটার।
আরও পড়ুন
বাংলাদেশে চিংড়ির রফতানি পরিমাণ কমছে ধারাবাহিকভাবে
গাজায় গত একদিনে নিহত ৫২
তীব্রতর হচ্ছে ইসরায়েলি হামলায় লেবাননে যুদ্ধ