July 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, October 20th, 2022, 9:49 pm

রিজার্ভ নামল ৩৬ বিলিয়নের নিচে

ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :

বাংলাদেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবার ৩৬ বিলিয়ন ডলারের নিচে নেমে গেছে; ২৮ মাসের মধ্যে যা সর্বনিম্ন।

ইউক্রেইন-রাশিয়ার যুদ্ধাবস্থায় আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের খরচ বেড়ে যাওয়ার বিপরীতে রপ্তানি আয় ও রেমিটেন্স কমে যাওয়ার কারণে চাপ বাড়তে থাকার মধ্যে রিজার্ভ আরও কমে গেল।

বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বুধবার দিন শেষে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩৫ দশমিক ৯৮ বিলিয়ন ডলারে। এর আগে ২০২০ সালের জুনে রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩৬ বিলিয়ন ডলার, খবর বিডি নিউজ ২৪ ডটকমের।

আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, একটি দেশের কাছে অন্তত তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর সমপরিমাণ বিদেশি মুদ্রার মজুদ থাকতে হয়।

বর্তমান রিজার্ভ দিয়ে বাংলাদেশ প্রায় ৪ মাসের আমদানি বিল পরিশোধ করতে পারবে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য বলছে, ২০১৯ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশের রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ৩২ দশমিক ৪৮ বিলিয়ন ডলার। এরপর তা ধারাবাহিকভাবে বেড়ে ২০২১ সালের জুনে ৪৬ দশমিক ৩৯ বিলিয়নে উন্নীত হয়। একই বছরের আগস্টে রিজার্ভের পরিমাণ দাঁড়ায় রেকর্ড ৪৮ বিলিয়ন ডলার।

এরপর কোভিড মহামারীর লকডাউন উঠে দেশে দেশে অর্থনীতি গতিশীল হতে শুরু করলে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য বাড়তে থাকে, যা বাড়িয়ে দেয় পণ্যমূল্যও। এর সঙ্গে জ্বালানি তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার পাশাপাশি জাহাজ খরচ বাড়লে পণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী হতে থাকে। এরমধ্যে গত ফেব্রয়ারিতে ইউক্রেইন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হলে বাংলাদেশেও বৈশ্বিক বাণিজ্যের দায় মেটাতে চাপে পরে।

আমদানি ব্যয় বাড়ার বিপরীতে রপ্তানি ও রেমিটেন্স সেভাবে না বাড়লে ডলারের মজুদে টান পড়ে। এতে করে যুদ্ধ শুরুর চার মাস পর গত জুনে রিজার্ভের পরিমাণ ৪১ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলারে নেমে আসে।

চাহিদা বাড়লে বাংলাদেশ ব্যাংকও রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি শুরু করে। পাশাপামি মুদ্রাবাজারে ভারসাম্য ঠিক রাখতে টাকার মান দফায় দফায় কমিয়ে আনা হয়।

গত বছরের অগাস্টে ডলারের বিপরীতে টাকার মান ছিল ব্যাংকে ৮৪ টাকা ৮০ পয়সায়, সেখানে গত ১৯ অক্টোবর তা দাঁড়িয়েছে ১০৪ টাকা ৮৭ পয়সা। আর খোলা বাজারে প্রতি ডলার কিনতে খরচ হচ্ছে ১১২ টাকার মত।