নিজস্ব প্রতিবেদক :
করোনা পরিস্থিতিতে দেশজুড়ে চলা লকডাউন শেষ হতে এখনও বাকি; তবে তার আগেই রাজধানীতে বিধিনিষেধ মানতে উৎদাসীনতা দেখাচ্ছে মানুষ। রোববার (৮ আগষ্ট) চলছে লকডাউনের সপ্তদশ দিন। এদিন সকাল থেকেই নগরীর বিভিন্ন সড়কে চলছে ব্যক্তিগতসহ নানা ধরনের গাড়ি।
প্রয়োজন ছাড়াও রাস্তায় বেরিয়ে এসেছেন অনেকে। খুলেছে অনেক এলাকার দোকানপাটও। সড়কে মোড়ে মোড়ে বসেছে পুলিশের চেকপোস্ট। তল্লাশিও চলছে। আছে র্যাবের টহলও। তবে তারপরও আগের চেয়ে মানুষের উপস্থিতি বেড়েছে। মগবাজার, শাহবাগ, ফার্মগেট ও মোহাম্মদপুর এলাকা ঘুরে আগের কয়দিনের চেয়ে রোববার (৮ আগষ্ট) বেশি মানুষকে বাইরে বেরিয়ে আসতে দেখা গেছে। অনেক স্থানেই দেখা গেছে, মাস্ক পরছেন না অনেকে। স্বাস্থ্যবিধিও মানা হচ্ছে না। কারওনাবাজারে জমেছে মানুষের ভিড়। আশপাশের এলাকা থেকে বাজার করতে এসেছেন অনেকে। মানুষ যাতায়াত করছে রিক্সা, সিএনজি ও ভাড়ায়চালিত মোটরসাইকেলে। অলিতে গলিতে নিত্যপণ্যের দোকান যেমন খুলেছে, তেমনি খুলেছে বিভিন্ন পণ্যের দোকানও। কিছুকিছু দোকানে শাটার নামিয়ে আবার কিছুটা পুরো খুলে দিয়েই চলছে বেচাকেনা। কয়েকটি চেকপোস্টে গাড়ি থামিয়ে নগরীর বাসিন্দাদের পুলিশের তল্লাশি করতে দেখা গেছে। জরিমানাও করা হচ্ছে মোটরসাইকেলসহ কিছু গাড়িকে। তবে এদিন বাইরে বের হওয়া মানুষকে কম জরিমানার মুখোমুখি হতে হচ্ছে। গত বছরের মার্চে দেশে প্রথম করোনার অস্তিত্ব শনাক্ত হয়। এরপর দেশজুড়ে কয়েক দফা লকডাউন ঘোষণা করে সরকার। চলতি বছরেও দেওয়া হয় কয়েক দফা লকডাউন। সর্বশেষ ১ থেকে জুলাই ১৪ জুলাই পর্যন্ত বিধিনিষেধ ছিল। পবিত্র ঈদুল আজহার কারণে আট দিন শিথিল করে পরে ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়ে। এরপর ১০ আগস্ট পর্যন্ত চলমান কঠোর বিধিনিষেধের সময় বাড়ানো হয়। ১১ আগস্ট থেকে বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি
কমতে শুরু করেছে কুড়িগ্রামের নদীর পানি, ভাঙন আতঙ্কে মানুষ
দিনাজপুরে কাভার্ডভ্যানের ধাক্কায় নিহত ২