নিজস্ব প্রতিবেদক :
আসন্ন ঈদুল আজহায় মানুষের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সরকার এক সপ্তাহের জন্য লকডাউন শিথিল করার পর বৃহস্পতিবার (১৫ জুলািই) গণপরিবহন চলাচল শুরু হয়েছে। রাজধানী কিছু সড়কে যানজট দেখা গেছে। এ কারণে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়েছে।

ঢাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে জানা গেছে, খুব সকালে বেশ কয়েকটি বাস টার্মিনাল ছেড়ে গেলেও রাজধানীর মিরপুর রোড, উত্তরা, বনানী, নিউ মার্কেট এবং মহাখালী অঞ্চলগুলো পার হতে অনেক সময় লেগেছে।
রাজধানীসহ বিভিন্ন আন্তজেলা রুটের বাসগুলোতে ধারণ ক্ষমতা অর্ধেক যাত্রী নিয়ে চলাচল করতে দেখা গেছে। তবে সকালে নগরীর বেশ কয়েকটি এলাকার সড়কে যানজট দেখা যায়। এতে যাত্রীদের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের যুগ্ম কমিশনার (ট্রাফিক উত্তর) আবু রায়হান মোহাম্মদ সালেহ বলেছিলেন, কঠোর লকডাউনের কারণে অনেকেই বাড়ি থেকে বেরোতে পারেনি। লকডাউন শিথিল হওয়ার সাথে সাথেই মানুষ বাইরে বেরিয়ে পড়েছে। তবে, সব ধরনের কোভিড-সুরক্ষা প্রোটোকলগুলো কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিতে পুলিশ এবং অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো সড়কে কঠোর নজরদারি রাখছে বলেও তিনি জানান।
আন্তজেলা বাসগুলোর কারণে রাজধানীতে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
ট্রাফিক পরিদর্শক আক্তার হোসেন বলেন, সকাল থেকে সব যানবাহন চলাচল শুরু করায় সড়কে যানবাহনের একটি বিশাল চাপ দেখা গেছে।

এছাড়াও, ট্রেন ও লঞ্চ পরিষেবাগুলো ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে মানুষের চলাচলের সুবিধার্থে ৫০ শতাংশ আসন খালি রেখে সারাদেশে আবার চলাচল শুরু করেছে।
মঙ্গলবার বিকেল থেকে অনলাইনে ট্রেনের টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে।
১২ জুলাই রেলমন্ত্রী মো. নরুল ইসলাম সুজন বলেন, ট্রেনের টিকেট শুধুমাত্র অনলাইনে পাওয়া যাবে। কাউন্টারে কোন টিকেট দেয়া হবে না।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ মারাত্মক বৃদ্ধি পাওয়ায় সরকার সারাদেশে যাত্রীবাহী ট্রেনসহ সকল প্রকার গণপরিবহন চলাচলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে লকডাউন দিয়েছিল। দুই দফায় লকডাউন বাড়ানোর পর গতকাল বুধবার ১৪ জুলাই মধ্যরাত থেকে ২২ জুলাই পর্যন্ত লকডাউন শিথিল করে সব ধরনের গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। আগামী ২৩ জুলাই থেকে ফের কঠোর লকডাউন দেয়া হতে পারে।

২২ জুন কর্তৃপক্ষ নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, মুন্সীগঞ্জ, মানিকগঞ্জ, মাদারীপুর, রাজবাড়ী এবং গোপালগঞ্জ জেলাগুলোতে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে যাত্রীবাহী জাহাজ চলাচল স্থগিত করেছিল।
এই সাতটি জেলায় লকডাউন আরোপের বিষয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের বিজ্ঞপ্তি অনুসরণ করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ২১ জুন লঞ্চ, স্পিড বোট এবং ট্রলার চলাচল স্থগিত করার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করে।
তবে কার্গো জাহাজ এবং জরুরি পরিষেবাগুলোর চলাচলে নিষেধাজ্ঞাগুলো প্রযোজ্য নয়। বিআইডব্লিউটিএ বিজ্ঞপ্তি অনুসারে লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
আরও পড়ুন
জ্বালানি তেল খাতে বেসরকারি অংশগ্রহণ বাড়ানোর উদ্যোগ
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২.১ শতাংশ বাড়াতে সহায়তা করবে বিআরআই: প্রতিবেদন
বাংলাদেশের আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা করেছেন আজরা জেয়া: মার্কিন দূতাবাস