লক্ষ্মীপুরেপারিবারিক কলহের জেরে পুত্রবধূকে নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার শ্বশুর- শ্বাশুড়ির বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার রাত ১০টার সময় পৌর এলাকার আবিরনগর গ্রামে নিহতের শ্বশুর বাড়ি থেকে পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে।
নিহত কুসুম আক্তার (২৭) ওই এলাকার গনু মিয়ার সর্দার বাড়ির সৌদি প্রবাসী ইয়াছিনের স্ত্রী এবং পাশ্ববর্তী নূড়িগাছ তলা এলাকার আনোয়ারুল হকের মেয়ে।
অভিযুক্ত শ্বশুরের নাম খোকন এবং শাশুড়ির নাম ছলমা বেগম।
নিহতদের স্বজনরা জানান, ১১ বছর আগে ইয়াছিনের সঙ্গে পারিবারিকভাবে কুসুমের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে কারণে-অকারণে নির্যাতনের শিকার হতো কুসুম। এ নিয়ে একাধিকবার বৈঠক হয়েছে। তবুও থেমে নেই শ্বশুর বাড়ির লোকজনের নির্যাতনের মাত্রা। সর্বশেষ (বৃহস্পতিবার) বিকাল ৩টার দিকে শাশুড়ি ছলমার সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয় কুসুমের। একপর্যায়ে বৌ-শাশুড়ি মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। তখন কুসুমের ছোট বোন স্বপনা দুইজনকে থামাতে আসলে, কুসুমের শাশুড়ি স্বপনাকে লাথি ও মারধর করে। একসময় স্বপনা কান্নাকাটি করে বোনের বাড়ি থেকে চলে যায় নিজ বাড়িতে। যাওয়ার সময় স্বপনা তার বোনের সাত বছর মেয়ে সাদিয়া আক্তার জান্নাতকে সঙ্গে করে নিয়ে যান। পরে বিকেল সাড়ে ৪ টার দিকে খবর পান কুসুম গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মাহত্যা করেছে বলে তাদের জানানো হয়।
লক্ষ্মীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোসলেহ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়ে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টের পর মৃত্যুর সঠিক কারণ জেনে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত শ্বশুর-শাশুড়ি পলাতক রয়েছে বলেও জানান ওসি।
—–ইউএনবি
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি