অনলাইন ডেস্ক :
বাংলা চলচ্চিত্রের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম শাবানা। শাবানা বাংলার ঘরে ঘরে ছিলেন দেবীতুল্য অভিনেত্রী। সব শ্রেণির দর্শকের কাছে এই অভিনেত্রী ছিলেন শ্রদ্ধার পাত্রী। জীবন্ত অভিনয় দিয়ে খুব সহজেই দর্শক হৃদয়ে প্রবেশ করতে পেরেছিলেন বলেই অভিনয় থেকে বিদায় নেওয়ার পরেও তার কথা ভুলতে পারে না এ দেশের ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি।শাবানা সম্পর্কে কয়েকটি তথ্য তুলে ধারা হলো পাঠকদের জন্য- ১. শাবানার আসল নাম আফরোজা সুলতানা রত্না। চলচ্চিত্রে নাম পরিবর্তন করে হন শাবানা। ২. ১৯৬৭ সালে পরিচালক এহতেশামের উর্দু ছবি ‘চকোরি’ দিয়ে পর্দায় আগমন। ৩. শাবানা অভিনীত ছবির সংখ্যা ৫০০-এর মতো। ৪. বাংলা ছবিতে দর্শকদের সবচেয়ে বেশি চোখে জল আনা অভিনেত্রীর নাম শাবানা। ৫. নায়ক-নায়িকার বাইরেও ভাবি-মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে সিনেমাকে টেনে নিয়ে যেতে পারতেন শাবানা। ৬. শাবানার স্বামীর নাম ওয়াহিদ সাদিক। যিনি একজন চলচ্চিত্র প্রযোজক। ৭. শাবানার প্রযোজনাপ্রতিষ্ঠানের নাম ছিল ‘এস এস প্রডাকশনস’। ৮. শাবানা অভিনয়ের জন্য ১১ বার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। যা বাংলা চলচ্চিত্র জগতে ইতিহাস। ৯. শাবানার বাবার নাম ফয়েজ চৌধুরী, যিনি একজন টাইপিস্ট ছিলেন এবং মা ফজিলাতুন্নেসা ছিলেন গৃহিণী। ১০. শাবানা অভিনীত সর্বশেষ চলচ্চিত্র ছিল ‘ঘরে ঘরে যুদ্ধ’। ১১. শাবানার জন্ম ঢাকার গে-ারিয়ায়। পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রাম জেলার রাউজান উপজেলার ডাবুয়া গ্রামে। ১২. শাবানার বিপরীতে প্রথম নায়ক ছিলেন নাদিম। ১৩ . শাবানার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার তাই ইতি ঘটে মাত্র ৯ বছর বয়সে। ১৪. বেগম রোকেয়ার চরিত্রে শাবানা অভিনয় করেছিলেন। এটি ছিল শাবানার স্বপ্নের চরিত্র। ছবিটি মুক্তি পায়নি। শাবানার চলচ্চিত্র থেকে অপ্রাপ্তি কিংবা আফসোস এই একটি। ১৫. শাবানা বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করেন।
আরও পড়ুন
পূর্ণিমাই আমার সবচেয়ে ভালো বন্ধু: ফেরদৌস
মেয়েরাই মেয়েদের বড় শত্রু: শবনম
সব মাধ্যমেই সক্ষমতার পরিচয় দিয়েছেন চঞ্চল চৌধুরী