October 7, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, September 30th, 2021, 9:45 pm

শিক্ষার্থীদের চুল কাটার ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট

ফাইল ছবি

অনলাইন ডেস্ক :

সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কাটার বিষয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদন চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী এক মাসের মধ্যে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি ১৪ শিক্ষার্থীর চুল কেটে শাস্তি দেওয়ার ঘটনা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত। সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। এ সংক্রান্ত রিটের শুনানি নিয়ে বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি মো. কামরুল হোসেন মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার হুমায়ন কবির পল্লব। জানা গেছে, গত ২৬ সেপ্টেম্বর দুপুরে সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের’ প্রথম বর্ষের রাষ্ট্রবিজ্ঞান পরিচিতি বিষয়ের ফাইনাল পরীক্ষার হলে ঢোকার সময় ওই বিভাগের চেয়ারম্যান ও সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন আগে থেকে কাঁচি হাতে পরীক্ষার হলের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকেন। শিক্ষার্থীরা হলে প্রবেশের সময় যাদের মাথার চুল হাতের মুঠোয় ধরা যায়, তাদের মাথার সামনের অংশের বেশ খানিকটা চুল তিনি কাঁচি দিয়ে কেটে দেন। এভাবে একে একে ১৪ জন শিক্ষার্থীর চুল তিনি কেটে দেন। এরপর পরীক্ষা হলে শিক্ষার্থীদের পরিবার তুলে গালিগালাজ করেন তিনি। এতে শিক্ষার্থীরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন। এই ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট দিলে বিষয়টি নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনার প্রতিবাদ করলে শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী নাজমুল হাসান তুহিনকে তার চেম্বারে ডেকে নিয়ে গালিগালাজ করেন ও বিশ্ববিদ্যালয় থেকে তাকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের হুমকি দেন। এতে ভয়ে তুহিন ওইদিন রাত সাতটার দিকে দ্বারিয়াপুরের শাহমখদুম ছাত্রাবাসের নিজ কক্ষে দরজা বন্ধ করে ঘুমের বড়ি সেবন করে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। রাত ৮টার দিকে তার সহপাঠিরা বিষয়টি টের পেয়ে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে শাহজাদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে এনায়েতপুর খাজা ইউনুস আলী মেডিকেল কলেজে নিয়ে যান। ঘটনার পর শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে রাতেই ক্যাম্পাসে ছুটে এসে বিক্ষোভ করেন। গভীর রাত পর্যন্ত তাদের এ বিক্ষোভ চলে। পরে মঙ্গলবার সকাল থেকে তারা আবারও বিক্ষোভ শুরু করলে রবি ক্যাম্পাস শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে উত্তাল হয়ে ওঠে। ওই ঘটনার পর সিরাজগঞ্জের রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অভিযুক্ত শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন তিনটি পদ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। তবে শিক্ষিকা ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের স্থায়ী অপসারণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এই দাবিতে আমরণ অনশনের ঘোষণা দিয়েছেন তারা। এ সংক্রান্ত ঘটনা সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত হলে তা গত ২৯ সেপ্টেম্বর আদালতের নজরে আনেন আইনজীবী হুমায়ন কবির পল্লব। পরে আদালতে এ বিষয়ে রিট দায়ের করেন তিনি। রিট আবেদনে ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ এবং ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়।