October 18, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Sunday, May 7th, 2023, 8:12 pm

শিরোপার স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখলো শেখ জামাল

অনলাইন ডেস্ক :

আবাহনীর সঙ্গে সমানে সমান লড়াই করছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল। সর্বশেষ প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাবকে ১৩ রানে হারিয়ে শিরোপা লড়াই জমিয়ে তুলেছে তারা। রোববার মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে শেখ জামালের দেওয়া ২৭৭ রানের জবাবে খেলতে নেমে প্রাইম ব্যাংক ২৬৩ রানে অলআউট হয়েছে। ব্যাটিংয়ের পর বোলিংয়েও ভালো করে ম্যাচ সেরা হয়েছেন সাইফ হাসান। আবাহনী পুরো লিগে একটি মাত্র ম্যাচ হেরেছে, তাতে তাদের পয়েন্ট ২৬।

অন্যদিকে দুই ম্যাচে হেরে শেখ জামালের পয়েন্ট ২৪। বাকি দুই রাউন্ডে দেখার অপেক্ষা আবাহনী শিরোপা পুনরুদ্ধার করে নাকি টানা দ্বিতীয় শিরোপা ঘরে তোলে শেখ জামাল। মিরপুরে ২৭৭ রানের জবাবে খেলতে নেমে ১০ রানে জাকির হাসান (৪) ও মোহাম্মদ মিঠুনকে (০) রানে হারিয়ে বিপদে পড়ে গিয়েছিল প্রাইম ব্যাংক। খাদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তোলার চেষ্টা করেছেন শাহাদাত হোসেন দিপু ও প্রান্তিক নওরোজ নাবিল। দু’জন মিলে ১০১ রানের জুটিও গড়ে ফেলেছিলেন। জুটি ভাঙে নাবিলের বিদায়ে। সাইফ হাসানের বলে নুরুল হাসান দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছিলেন।

কিন্তু আউটটি নিয়ে কিছুটা নাটকীয়তার সৃষ্টি হয়। আম্পায়ার তাতে কোন সাড়া দেননি। তবে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তর অপেক্ষায় থাকেননি ক্রিজে জমে যাওয়া নাবিল। ড্রেসিংরুমের দিকে হাঁটা দিতেই আম্পায়ার আঙুল তুলতে বাধ্য হন। তার আউটের পরেই মূলত ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে প্রাইম ব্যাংক। নাবিল সাজঘরে ফেরেন ৭৫ রানে। ৯০ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় নাবিল তার ইনিংসটি সাজিয়েছেন। তার ফেরার পর অভিজ্ঞ নাসিরের দায়িত্ব ছিল দলকে টেনে নেওয়ার। ১৪ বলে ৮ রান করেই রান আউটের শিকার হন তিনি। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা প্রাইম ব্যাংক আর ম্যাচে ফিরতে পারেনি। শেষ ওভারে জয়ের জন্য প্রয়োজন ছিল ১৪ রান। দ্বিতীয় বলে শেষ ব্যাটার শেখ মেহেদী হাসান আউট হতেই ইনিংসের সমাপ্তি ঘটে সেখানে। তাতে ৪৯.২ ওভারে ২৬৩ রানে থেমেছে প্রাইম ব্যাংকের ইনিংস।

শেখ মেহেদী ৩৫ রান ও আল আমিন জুনিয়র খেলেন ৩৬ রানের ইনিংস। এর আগে ওপেনার দিপুর ব্যাট থেকে আসে ৬৬ রান। শেখ জামালের বোলারদের মধ্যে শফিকুল ইসলাম ৪৪ রানে তিনটি উইকেট নিয়েছেন। এ ছাড়া পারভেজ রাসুল ও সাইফ হাসান দুটি করে উইকেট নিয়েছেন। একটি উইকেট নেন শহিদুল ইসলাম। শুরুতে টস হেরে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ পাওয়া শেখ জামাল দুই ওপেনারের জুটিবদ্ধ ইনিংসে পায় দারুণ সংগ্রহ। দু’জনের ৬৩ রানের জুটির পর বড় ইনিংসের ভিত পায় তারা। ২৯ রানে সৈকত আলী আউট হলেও সেঞ্চুরির পথে ছিলেন সাইফ হাসান। শেষ পর্যন্ত ৮৩ রানে ফিরতে হয়েছে শেখ জামালের এই ওপেনরাকে। তার পর অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ৫৩, তাইবুর রহমানের ৩০ ও জিয়াউর রহমানের ২৭ রানে ভর করে শেখ জামালের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৭৬। কাশিফ ভাট্টি ২৩ রানে সর্বোচ্চ তিনটি উইকেট নিয়েছেন।