July 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, May 16th, 2024, 7:47 pm

‘শিল্পী সমিতির আদালতের দারস্থ হওয়া লজ্জার’

অনলাইন ডেস্ক :

বারবার শিল্পী সমিতির আদালতের দারস্থ হওয়া শিল্পীদের জন্য লজ্জাজনক বলে মন্তব্য করেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের ড্যাশিং হিরো সোহেল রানা। একজনের জন্য সব শিল্পীকেই সেই দায়ভার বহন করতে হচ্ছে বলেও জানান তিনি। গত নির্বাচনের আগ পর্যন্ত কেউ শিল্পী সমিতির অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়ে আদালতে যায়নি স্মরণ করে এই চিত্রনায়ক বলেন, ছোট ছোট যে সমস্যাগুলো হয়েছে তার সমাধান শিল্পীরাই করেছে। গতবার প্রথম নিপুণ আদালতে গেছে। এবারও তাই করল। গতবার তার সঙ্গে প্যানেলের ১১ জন ছিলেন, এবার তার প্যানেল থেকে নির্বাচিত হওয়া তিনজন কিন্তু ইতোমধ্যে নতুন প্যানেলের সঙ্গে বসে মিটিং করেছেন। আগের কমিটির মতো আলাদা থাকেনি।

ফলে এবার আদালতে যাওয়ার বিষয়টি অকল্পনীয় ব্যাপার, কল্পনাতীত। বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি মানেই যেন আলোচনা-সমালোচনা। একে অন্যের বিরুদ্ধে কথা বলে সমালোচিত হয়েছেন শিল্পী সমিতির নেতারা। ২০২২-২৪ মেয়াদের নির্বাচনের পর আদালত পর্যন্ত গেছেন সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচন করা নিপুণ আক্তার। পরে আদালতের হস্তক্ষেপে দায়িত্ব পালন করেন নিপুণ। চলচ্চিত্রসংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, এবারও একই পথে হাঁটছেন তিনি। শিল্পী সমিতির ২০২৪-২৬ মেয়াদের নির্বাচনের ফল বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করেছেন নিপুণ।

রিটে মিশা-ডিপজলের নেতৃত্বাধীন কমিটির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে। নির্বাচন মেনে নেওয়ার এক মাস পর তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। এ ঘটনায় চটেছেন সোহেল রানা। তিনি বলেন, নির্বাচনের পর নিপুণ মালা দিয়ে বিজয়ীদের বরণ করে নিয়েছে। আমিও তাকে বাহবা দিয়েছি। এক মাস না পেরোতেই সে আদালতে গেল। পুরো বিষয়টি আমার বোধগম্য হচ্ছে না। আলোচনায় থাকতেই হয়ত নিপুণ এমন করেছে। আদালত যদি সত্যিকার অর্থে সবকিছু বিচার-বিবেচনা করে দেখেন, তাহলে তার অভিযোগ কোনোটাই গ্রহণযোগ্য হওয়ার কথা নয়। আদালতের ওপর আমাদের দৃঢ় আস্থা আছে বলেও জানান তিনি।