July 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Thursday, January 20th, 2022, 2:15 pm

শীতে মাগুরায় পিঠা খাওয়ার ধুম

মাগুরায় শীতের ঠাণ্ডা হাওয়ায় ভেসে বেড়ানো ভাপা, চিতই পিঠাসহ নানা ধরনের পিঠার ঘ্রাণ সর্বত্র বয়ে যাচ্ছে। সকালের কুয়াশা ভেদ করে মিষ্টি রোদের ছোঁয়া পাশাপাশি এই সব পিঠা মানবকুলে বৈচিত্র আনে।

শীতকালে মুখরোচক খাদ্য হিসেবে পিঠা বাঙালির ঐতিহ্যের অংশ। এই সময় প্রতিটি ঘরে নানা রকমের পিঠা তৈরি করা হয়। তবে ভাপা পিঠা বাংলাদেশের একটি ঐতিহ্যবাহী পিঠা, যা প্রধানত শীতকালে খাওয়া হয়ে থাকে। আর এ শীতকালকে ঘিরেই মাগুরায় বিভিন্ন বাজারে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী পিঠা, গরম কাপড়সহ নানা ধরনের ব্যবসাও করে থাকেন।

সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, শীতের শুরুতেই জেলার অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী রাস্তার পাশে স্কুল-কলেজের মাঠে এমনকি ফাস্টফুডের দোকানগুলোতে ভাপা পিঠা বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রধানত চালের গুঁড়ার মধ্যে কিছু খেজুরের অথবা আখের গুড় দিয়ে তার ওপর আবার চালের গুঁড়া দিয়ে গরম পানির ভাপে তৈরি করা হয় এ মজাদার পিঠা। স্বাদ বাড়ানোর জন্য দেয়া হয় নারিকেল।

সারা দিনের কর্মব্যস্ততা কাটিয়ে ফুটপাথে গড়ে তোলা পিঠাপুলির দোকানে এসে ভিড় জমান জেলার বিভিন্ন শ্রেণির ক্রেতা। ক্রেতাদের জন্য দোকানে দুই পাশে রাখা হয়েছে লম্বা বেঞ্চ। দোকানে বেচাকেনা হয় ভালো, যা আজকাল পিঠা উৎসবে পরিণত হয়েছে।

পিঠা তৈরি করে সংসার চালাচ্ছে অনেক নারী ও পুরুষ বিক্রেতারা। তাদেরই একজন মো. আবদুল আলিম (৩৫)। চার সন্তানের বাবা আলিম পিঠার ব্যবসা করেই সন্তানদের লেখাপড়া ও সংসারের খরচ বহন করছেন। তবে তার এ ব্যবসায় পুরোপুরি সহযোগিতা করছেন তার স্ত্রী।

আলিম বলেন, ‘পিঠা বিক্রি করে যা আয় হয় তা দিয়ে আমার সংসার চলে। দুই ছেলে, দুই মেয়ে নিয়ে আমার সংসারে তেমন অভাব নেই।’

তিনি জানান, শীত এলেই তিনি পিঠা বিক্রি করেন। কারণ এ সময় পিঠার ব্যবসা ভালো হয়। ভাপা পিঠা তৈরিতে খরচ ও সময় দুটোই কম লাগে। সব সময় ভিড় থাকে দোকানে। প্রতিদিন পিঠা বিক্রি করেই ৪০০ টাকা আয় হয় বলে জানান তিনি।’

এদিকে ফুটপাথে এই পিঠা ব্যবসাকে ঘিরে সারা দিনই চলে লোকজনের আসা-যাওয়া। এক কথায়, হরহামেশা ভিড় লেগে থাকে জেলার এসব দোকানে। সর্বস্তরের মানুষ ফুটপাথে তৈরি করা এ পিঠা ক্রয় করে ফুটপাথে বসেই খান। অনেকেই আবার পরিবারের জন্য পার্সেল করে নিয়ে যান। এতে করে এক শ্রেণির দরিদ্র মানুষ এই পিঠার ব্যবসা করে সংসার নির্বাহ করছে।

—-ইউএনবি