জেলা প্রতিনিধি, শেরপুর :
শেরপুরের ঝিনাইগাতী সীমান্ত এলাকা থেকে একটি বন্যহাতির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ। শনিবার সকালে উপজেলার বাঁকাকুড়ার ঢাকাইয়া মোড় থেকে মৃতদেহটি উদ্ধার করা হয় ।
ধান পাকার মৌসুম এলেই শেরপুর সীমান্তে বন্যহাতির তাণ্ডব শুরু হয় । কিছুদিন যাবত বন্যহাতির একটি দল শেরপুর জেলার শ্রীবরদী, ঝিনাইগাতী ও নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্ত এলাকায় অবস্থান করছে ।
স্থানীয়রা জানায় , শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে শেরপুর সীমান্তের গভীর অরণ্য থেকে ২৫/৩০টি বন্যহাতির একটি দল পশ্চিম বাকাকুড়া এলাকার বোরো ধান ক্ষেতে নেমে আসে। এ সময় স্থানীয় কৃষকরা মশাল জ্বালিয়ে ঢাকঢোল পিটিয়ে শব্দ করে হাতি তাড়ানোর চেষ্টা করে। এক পর্যায়ে রাত ১টার দিকে বন্যহাতির দল কৃষক নুহু মিয়ার (পাগলারমুখ এলাকার) ধান ক্ষেতে হানা দিলে, আগে থেকেই ক্ষেতে পেতে রাখা জিআই তারের বিদ্যুতের ফাঁদে পড়ে হাতিটির মৃত্যু হয় ।
জানা গেছে গারো পাহাড়ে হাতির প্রয়োজনীয় খাবার না থাকায়, বন্যহাতি পাহাড় ছেড়ে লোকালয় ও ফসলের ক্ষেতে নেমে আসছে। ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত সরকারি হিসেবে জেলায় ২৬টি বন্যহাতির মৃত্যু হয়েছে, যার বেশিরভাগই বিদ্যুতের পাতা ফাঁদে মারা যায় ।
অন্যদিকে, ২০১৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত সরকারি হিসেবে জেলায় হাতির আক্রমণে ২১ জন কৃষকেরও মৃত্যু হয়েছে ।
৬ মে শনিবার সকালে ঝিনাইগাতী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারুক আল মাসুদ, থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনিরুল আলম ভূইয়া ও বন বিভাগের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
প্রানিসম্পদ অধিদপ্তরের ময়নাতদন্তের জন্য দুপুরে মৃত হাতিটির নমুনা সংগ্রহের পর মাটিচাপা দেয়া হয়। উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. এটিএম ফায়েজুর রহমান আকন্দ বলেন, নমুনা সংগ্রহ করে লেবে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে।
বন্যহাতির মৃত্যুর ঘটনায় প্রকৃতি ও পরিবেশবাদী সংগঠন ‘সবুজ আন্দোলন’র কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মো. মেরাজ উদ্দিন গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে হাতি মৃত্যুর ঘটনায় সুষ্ঠু তদন্তের জোর দাবি জানিয়েছে।
আরও পড়ুন
আশুলিয়ায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু, আহত ২
তিস্তার পানি কমতে থাকলেও বেড়েছে ভাঙন আতঙ্ক
সিরাজগঞ্জে দ্রুত গতিতে বাড়ছে যমুনার পানি