October 5, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Wednesday, April 27th, 2022, 9:07 pm

শেষ মুহূর্তে চাঙা সিলেটের ঈদবাজার ব্যবসায়ীদের মুখে হাসি

জেলা প্রতিনিধি, সিলেট :
এবার আগে থেকেই জমে উঠেছিলো সিলেটের ইদবাজার। পনের রমজানের পর থেকেই মার্কেটে ক্রেতাদের ভিড় বাড়তে থাকে। আর শেষ দশ দিনে এসে ভিড় আরও বেড়েছে। মধ্যরাত পেরিয়ে রাত ২টা পর্যন্তও বিকিকিনি হচ্ছে সিলেটে। এবারের ইদবাজার নিয়ে ব্যবসায়ীদের আগে থেকে প্রস্তুতিও ছিলো। ফলে সিলেটের মানুষের চাহিদা মতো পণ্যসামগ্রী তারা তুলে রেখেছেন দোকানে।
সিলেটের নয়াসড়কের মাহা, জেলরোডের আড়ং এবারও ক্রেতাদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ। সৌখিন ক্রেতাদের গন্তব্য এই দু’টি শপিং মলে। আর দু’টিতেই ভিড় বেড়েছে, বিকিকিনিও ভালো হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরাও জানিয়েছেন, এবার মধ্য রমজান থেকে বিক্রি বেড়েছে। দিন যতই যাচ্ছে ক্রেতাদের ভিড় বাড়ছে, বিক্রিও বেড়েছে। বিগত দুই বছর করোনার কাবু ছিলো বিভাগীয় নগরী সিলেট। এ কারণে কেউই স্বাচ্ছন্দ্যে ঈদ করতে পারেননি। এবার করোনার ভয় উঠে যাওয়ায় নির্ভয়ে ঈদ শপিং করতে পারছেন সিলেটবাসী। স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে এবার অনেক প্রবাসীও ছুটি নিয়ে দেশে এসেছেন। আর তারা আসায় এবারের কেনাকাটায় বাড়তি আনন্দও সিলেটে।
এছাড়া সিলেট নগরীর নয়াসড়ক ও কুমারপাড়া এলাকা এবার ক্রেতাদের কাছে অন্যতম আকর্ষণ। এ দু’টি এলাকায় শতাধিক শপিং মল রয়েছে। পছন্দের কাপড় কিনতে সবাই ছুটছেন এ দু’টি স্থানে। দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে জেলরোড, জিন্দাবাজার, চৌহাট্টা এলাকা। কয়েকটি অত্যাধুনিক বিপনী বিতান রয়েছে এসব এলাকাতেও।
সিলেটের আলহামরা ও সিটি সেন্টারের ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, দুই বছর পর ঈদ বাজার জমে উঠায় তারাও স্বস্তিতে আছেন। এর জন্য ব্যবসায়ীরা আগে থেকে প্রস্তুতি সেরে রেখেছিলেন। এজন্য ক্রেতারাও পছন্দের কাপড় কিনতে পারছেন।
ক্রেতারা জানিয়েছেন, ঈদ মার্কেটে এবার দেশে পণ্যের পাশাপাশি ইন্ডিয়ান একাধিক পণ্য রয়েছে পছন্দের তালিকায়। তরুণী এবং রমণীরা ব্রান্ডের কাপড় কিনতে ভিড় দেখা গেছে।
শুকরিয়া মার্কেটের ব্যবসায়ী মাসুক আহমদ জানিয়েছেন, আমরা চেষ্টা করছি ক্রেতারা যাতে সন্তুষ্ট থাকে সেজন্য ব্যবসায়ীরা সতর্ক রয়েছেন। দামও রাখা হচ্ছে সহনীয় পর্যায়ে।
তবে নুসরাত জাহান, তাসনূভা আক্তার নামের এক ক্রেতা অভিযোগ করেছেন, এবার সিলেটের মার্কেটে ক্রেতাদের দাম বেশি। গত দুই বছর আগে যে পণ্যের দাম ছিলো ১ হাজার টাকা, এবার সেই পণ্যের দাম রাখা হচ্ছে ১৫০০ টাকা।
সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী জানিয়েছেন, মানুষ যাতে স্বাচ্ছন্দ্যে ইদ কেনাকাটা করতে পারে সেজন্য শৃঙ্খলা বজায় রাখা হচ্ছে। বিশেষ করে যানজট যাতে না হয় সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে। মধ্যরাত পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের লোকবল ও নগর পুলিশের সদস্যরা রাস্তায় পাহারা দিচ্ছেন।