October 14, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, June 19th, 2023, 10:33 am

শ্রীবরদীতে রাস্তায় ধানের গাছ রোপন করে অভিনব প্রতিবাদ

জেলা প্রতিনিধি শেরপুর (শ্রীবরদী) :

শেরপুরের শ্রীবরদীতে কাঁদা-পানির কারণে চলাচলে চরম দুর্ভোগ থেকে মুক্তি পেতে রাস্তায় ধানের গাছ রোপন করে অভিনব প্রতিবাদ করেছেন গোশাইপুর ইউনিয়নের মাটিয়াকুড়া গ্রামের এলাকাবাসী। ১৮ জুন রবিবার দুপুরে এলাকাবাসী গাবতলী বাজার হইতে জালকাটা-দক্ষিণ ষাইটকাকড়া গামী কাঁচা রাস্তাটিতে ধানের গাছ রোপন করে ওই অভিনব প্রতিবাদ করেন। সামান্য বৃষ্টি হওয়ায় রাস্তাটি দিয়ে চলাচল করতে পারছেন না গ্রামের লোকজন।

এলাকাবাসী জানান, গোশাইপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের গাবতলী বাজার থেকে জালকাটা- দক্ষিণ ষাইটকাকরা গামী কাঁচা রাস্তাটির কিছু অংশে পানি জমে কাঁদার সৃষ্টি হয়। রাস্তাটি দীর্ঘ দিন যাবত কোন সংস্কার না করায় সামান্য বৃষ্টি হলেই হাটু কাঁদায় চলাচল খুবই কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে এলাকাবাসীর। ফলে এলাকাবাসীর চরম দুর্ভোগ পোহাতে হয়। ওই এলাকার বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজার হাজার মানুষ বসবাস করে। এই হাটু কাদায় রাস্তা দিয়েই গ্রামের শিক্ষাথর্ীরা স্কুল-কলেজে যায়। জীবিকার তাগিদে জীবনের ঝুকি নিয়ে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার হাজার হাজার মানুষকে প্রতিনিয়ত চলাচল করতে হয় এই রাস্তাটি দিয়ে। দীর্ঘ দিন যাবত এই গ্রামের মানুষ কষ্ট আর প্রচন্ড দুর্ভোগের মধ্যে দিয়েই জীবন পার করে আসছেন।

মাটিয়াকুড়া গ্রামের বীরমুক্তিযোদ্ধা মোফাজ্জল হোসেন বলেন, এই রাস্তায় হাটু পর্যন্ত কাঁদা থাকায় মসজিদ, বাজারে যাওয়া যায় না। এছাড়াও ছেলে মেয়েরা স্কুল, মাদরাসায় যেতে পারছে না।

একই গ্রামের নুর ইসলাম বলেন, রাস্তায় দীর্ঘ দিন যাবত কোন মাটি না ফেলায় রাস্তাটি গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এই রাস্তা দিয়ে স্কুল, কলেজ, মাদরাসার শিক্ষাথর্ীসহ মসজিদের মুসল্লীগণ যাতায়াত করে। রাস্তায় কঁাদা থাকায় আমরা ধান, চাল, কৃষি পণ্য বাজারে নিয়ে যেতে পারছি না। ফলে চরম দুর্ভোগে রয়েছি। আমাদের দাবী দ্রুত রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে দেয়া হোক।

২নং ওয়ার্ডের ইউ.পি সদস্য মো. সাজু মিয়া বলেন, আমি এই রাস্তাটি মেরামতের জন্য চেয়ারম্যানের নিকট বারবার বলেছি কিন্তু চেয়ারম্যান কোন প্রকল্প দেয়নি।

এ বিষয়ে গোশাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শাহজামাল ইসলাম আশিক বলেন, রাস্তাটির দুই পাশেই বসত বাড়ি রয়েছে। ফলে রাস্তার পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা নেই, তাই কাঁদার সৃষ্টি হয়। তবে দ্রুতই সংস্কার করা হবে।