October 13, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, May 30th, 2023, 3:45 pm

শ্রীমঙ্গলে স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও সচেতনতামূলক নাটকের মাধ্যমে কিশোরীদের সচেতনতা বৃদ্ধি

জেলা প্রতিনিধি, মৌলভীবাজার (শ্রীমঙ্গল) :

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গলে ‘২০৩০ সালের মধ্যে মাসিক’কে জীবনের একটি স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত করতে আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় পালন করা হয়েছে ‘বিশ্ব মাসিক স্বাস্থ্যবিধি দিবস’।

মঙ্গলবার (৩০ মে) দুপুরে উপজেলার রাজঘাট চা বাগানের নাট মন্দিরে বাগান পঞ্চায়েত কমিটির আয়োজনে এবং ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট এফেয়ার্স আইডিয়া ও ওয়াটারএইড-এর সহযোগিতায় বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়। দিবস উপলক্ষে এর আগে গত ২৮ তারিখ রবিবার ও ২৯ তারিখ সোমবার দু’টি বাগানে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।

তিনদিনে চা বাগানের নাট মন্দিরে প্রায় শতাধিক কিশোরীদের উপস্থিতিতে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে ঋতুকালিন স্বাস্থ্য পরিচর্যা ও সচেতনতামূলক নাটক ‘কেয়ার গল্প’ দেখানো হয়। তাছাড়া নির্দিষ্ট দৃশ্যের বিরতিতে প্রদর্শিত অংশের বিষয়ে জানতে চাওয়া তারা কি দেখলো? অত:পর সম্পূর্ণ শো শেষে উপস্থিতিদেরকে প্রশ্নোত্তর পর্বে অংশগ্রহনের মাধ্যমে ৩ জনকে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়।

ওইদিন বিকালে কিশোরীদের মধ্যে প্রীতি ফুটবল ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। এবং দিবসটির উপর আলোচনা ও বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরন করা হয়। উপজেলার সাঁতগাও ইউনিয়নের হুগলীছড়া, কালীঘাট ইউনিয়নের লাখাইছড়া ও রাজঘাট ইউনিয়নের রাজঘাট চা বাগানের শতাধিক কিশোরী ও নারীদের নিয়ে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

এসময় অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নারী ভাইস চেয়ারম্যান মিতালী দত্ত, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের ম্যানেজার ইমামুর রহমান, ওয়াটারএইড -এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর কে.এ. আমিন, আইডিয়ার প্রজেক্ট ম্যানেজার পঙ্কজ ঘোষ দস্তিদার, আইডিয়ার প্রজেক্ট কর্মকর্তা এডভোকেসি বিশ্বজিৎ দেবরায়, রাজঘাট ইউনিয়নের নারী সদস্য সাবিত্রী শীল প্রমূখ।

ওয়াটারএইড -এর প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর কে.এ. আমিন বলেন, ‘মাসিক’কে জীবনের একটি স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত করতে হবে। আমরা দেখেছি, শ্রীমঙ্গলের অনেক রিমোট এলাকায় এখনো মাসিকের বিষয়ে কুসংস্কার হিসেবে দেখে। একটা মেয়ের মাসিক হলে দেখা যায় যে, সে আত্মীয়স্বজনের সামনে যায় না, বিদ্যালয়ে যায় না। এখানে মাসিককে একটা রোগ হিসেবে দেখা হয়। যেমন কুষ্ঠ রোগ হলে কাছে যেতে দেয় না, দূরে দূরে রাখে। এমনও সময় দেখা যায় মাসিক হলে মেয়েদের আলাদা থাকতে দেওয়া হয়। আলাদা থালাবাসনে খেতে দেওয়া হয়। ঘুমানোর জন্য আলাদা চাদর দেওয়া হয়। আমি মাসিক সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে যে, মাসিক একটি স্বাভাবিক বিষয়। এটা নিয়ে আমাদের একটি স্লোগান আছে, ‘মাসিক স্বাভাবিক, লজ্জা নয়, চাই সচেতনতা’। প্রথমে মেয়েদের সচেতনতা করতে হবে।’