অনলাইন ডেস্ক :
দেশের অন্যতম নারী নির্মাতা নারগিস আক্তার। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রাপ্ত এই নির্মাতা-প্রযোজক তার তিন দশকের ক্যারিয়ারের সকল অর্জন ও সংগ্রহ একসঙ্গে জমা দিলেন বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মহাপরিচালক মোঃ জসীম উদ্দিনের কাছে। ১ জুন এই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন নির্মাতা। যাতে রয়েছে নারগিস আক্তারের ব্যক্তিগত সংগ্রহে থাকা প্রায় ১৫০টি ফুটেজের বেটাক্যাম, ইউমেটিক ফরমেটে ক্যাসেট, ৭টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য, ফটোসেট, অ্যালবাম, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট, বিভিন্ন সংস্থা ও আন্তর্জাতিক অঙ্গন থেকে প্রাপ্ত ৩০টি পদক এবং চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সামগ্রী।
বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের প্রকল্প পরিচালক ড. মোঃ মোফাকখারুল ইকবাল, ফিল্ম অফিসার মোঃ ফখরুল আলম এ সময় উপস্থিত ছিলেন। নারগিস আক্তার ১৯৯৩ সাল থেকে প্রামাণ্যচিত্র, তথ্যচিত্র, পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, টিভিস্পট নির্মাণ করে আসছেন। জনসচেনতামূলক বন্যা, ঘূর্ণিঝড়, সিডর, সমাজভিত্তিক মৎস্য সম্পদ ব্যবস্থাপনা, জাটকা নিধন, নিষিদ্ধ ও বেআইনি জাল ব্যবহার বন্ধকরণ, আর্সেনিক ও আর্সেনিকোসিস, এইচআইভি/এইডস রোগ, বন্ধ্যাত্ব ও বহুবিবাহ, বাল্য বিবাহ, পরিবেশ দূষণ ও প্রতিকার, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী উন্নয়ন, গাছপালা সংরক্ষণ, ঠোঁটকাটা শিশুর চিকিৎসা উপায়, নৌ পরিবহন, দেশের উন্নয়ন, নারী নির্যাতন, নারী বান্ধব আইন, ইভটিজিংসহ আরও অনেক বিষয় নিয়ে বিভিন্ন ফরমেটে কাজ করেন তিনি। নারগিস আক্তার পরিচালিত ৭টি চলচ্চিত্রের মধ্যে ৪টি পেয়েছে ১৭ শাখায় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
এমন সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে নারগিস আক্তার বলেন, ‘আমি মনে করেছি এগুলো আমার ঘরের চেয়ে এখানেই (বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ) বেশি ভালো ও নিরাপদ থাকবে। তাছাড়া নিজের অর্জন ও কর্ম সবার সামনে তুলে ধরাও হলো। এরমধ্যে আমার প্রযোজিত ও পরিচালিত ৩৫ মি.মি. ও ডিজিটালে নির্মিত সকল চলচ্চিত্র আর্কাইভে সংরক্ষণের জন্য জমা দিয়েছি। আজ দিলাম বাকিগুলোও। আমি চাই বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মাধ্যমে পরবর্তী প্রজন্ম এই কাজগুলো সম্পর্কে জানুক এবং দেখুক। কারণ, সংরক্ষণের অভাবে দিন দিন অনেক কিছু হারিয়ে যাচ্ছে বা নষ্ট হচ্ছে। যা মহামূল্যবান।’ প্রসঙ্গত, অনেক দিন ধরেই বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভ দেশের নামকরা নির্মাতা ও সিনেমার যাবতীয় সামগ্রী সংগ্রহ করছে।
আরও পড়ুন
ইউটিউব থেকে সরানো হলো শাকিবের ‘তুফান’
চিন্তিত অনন্যা পান্ডে
কনাকে নিয়ে সুখবর দিলেন আসিফ