অনলাইন ডেস্ক :
হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার ৭৩তম অ্যাশেজ সিরিজটি ২-২ সমতায় শেষ হলো। প্রথম দুই ম্যাচ যথাক্রমে ২ উইকেটে ও ৪৩ রানে জিতে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গিয়েছিলো অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় টেস্ট ৩ উইকেটে জিতে সিরিজে ব্যবধান ২-১ করে ইংল্যান্ড। সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ ড্র হয়। শেষ টেস্ট ইংল্যান্ড জিতলে সিরিজটি ২-২ সমতায় শেষ হয়। সিরিজটি সমতায় শেষ হওয়ায় খুশি দুই দলের অধিনায়কই। ওভালে সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্ট শেষ হবার পর ইংল্যান্ড অধিনায়ক স্টোকস বলেন, ‘ সত্যিই ভাল লাগছে। ২-২ সমতা এটাই প্রমাণ করে সমানতালে লড়াই করেছে দুই দল। অস্ট্রেলিয়া বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন ও মানসম্পন্ন দল।’
২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর সিরিজ সমতায় শেষ করাকে অনেক বড় অর্জন বলে মনে করছেন স্টোকস। তিনি বলেন, ‘আমার মনে হয় না, ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ার পর খুব বেশি দল আমাদের মত ঘুড়ে দাঁড়াতে পারবে। এ অবস্থায় আমরা যা অর্জন করেছি সেই ফল নিয়ে আমি খুশি।’ ওভালে শেষ টেস্টের চতুর্থ ইনিংসে অস্ট্রেলিয়াকে ৩৮৪ রানের টার্গেট দেয় ইংল্যান্ড। উদ্বোধনী জুটিতে ১৪০ রানের দুর্দান্ত শুরুর পরও ম্যাচটি হারতে হয় অজিদের। এ ব্যাপারে স্টোকস বলেন, ‘অনেকবার চতুর্থ ইনিংসে আমরা রান তাড়া করেছি, কাজটা কতটা কঠিন সেটা জানি। খাজা ও ওয়ার্নার শুরুতেই দারুণ খেলেছে। কিন্তু এরপর আরও ২৫০এর বেশি রান তাড়া করাটা মোটেই সহজ ছিলো না।’
শেষ টেস্ট ৩৭ রান ও ৭ উইকেট নিয়ে ম্যাচ সেরা হন ওকস। অবসর ভেঙ্গে ফিরে এই সিরিজে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন মঈন আলী। শেষ টেস্টে ৬৩ রান ও ৩ উইকেট নেন তিনি। চতুর্থ ইনিংসে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ৩ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডের জয়ে অবদান রাখেন মঈন। ওকস-মঈনের পাশাপাশি উড ও ব্রডের প্রশংসা করেছেন স্টোকস, ‘ওকস যেভাবে শুরুর দিকে এসে রান নিয়ন্ত্রণ করেছে, সেটি ছিলো অসাধারণ। প্রশংসা প্রাপ্য উডেরও। কালকে হাঁটতে সমস্যা হচ্ছিলো তার। তারপরও কষ্ট করে মঙ্গলবার (১ লা আগষ্ট) বল করেছে উড। মঈনও দারুন করেছে। ব্রডের সম্পর্কে আলাদা করে কিছু বলার নেই। অবিশ্বাস্য ক্রিকেটার। শেষ উইকেটটা হয়তো আগের থেকেই তার জন্য লেখা ছিল।’
দুর্দান্ত দু’টি জয় দিয়ে সিরিজ শুরু করেও সমতায় শেষ করতে হলো অস্ট্রেলিয়াকে। ২০০১ সালের পর আবারও ইংল্যান্ডের মাটিতে সিরিজ জয়ের সুযোগ হাতছাড়া হলো অজিদের। সিরিজ জিততে না পারলেও হতাশ নন কামিন্সও। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, বিশ্বের সেরা দু’টি দল প্রতিটি সেশন সমানভাগে লড়াই করেছে। এজন্য সিরিজে ২-২ সমতা, ঠিকই আছে। এটি একটি দুর্দান্ত সিরিজ হয়েছে।’ ইংল্যান্ডের মাটিতে অ্যাশেজ সিরিজ জয়ের খরা কাটানোর পরিকল্পনাই ছিলো অস্ট্রেলিয়ার। সেই স্বপ্ন পূরণ না হলেও, অ্যাশেজ ধরে রাখতে পারাটা গর্বের বলে মনে করেন কামিন্স।
তিনি বলেন, ‘আমরা এখানে জিততে এসেছিলাম, কিন্তু জিততে পারিনি। এটা একটা ভালো দিন ছিল। আমরা অ্যাশেজ ধরে রাখার জন্য অনেক বেশি গর্বিত হতে পারি। অবশ্যই আমরা এখানে জিততে চেয়েছিলাম। এই দলটি ২০১৯এর মতোই ছিল।’ এখন পর্যন্ত অ্যাশেজের ইতিহাসে ৭৩টি সিরিজ খেলেছে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়া। এর মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার জয় ৩৪টিতে এবং ইংল্যান্ড জিতেছে ৩২টিতে। ড্র হয়েছে ৭টি সিরিজ।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা