October 9, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, November 12th, 2021, 8:22 pm

সরকারিভাবে নির্ধারণ করে দেয়া হচ্ছে কৃষিপণ্যের সর্বোচ্চ মুনাফা

ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সরকারিভাবে নির্ধারণ করে দেয়া হবে কৃষিপণ্যের সর্বোচ্চ মুনাফার হার। কারণ কৃষিপণ্যের সরবরাহ চেইনে জড়িত সব পক্ষের মধ্যে কৃষক সবচেয়ে বেশি শ্রম ও সময় দিলেও মুনাফায় ভাগ সবচেয়ে কম পায়। বরং প্রচলিত উৎপাদন ও বিপণন ব্যবস্থায় মুনাফার সিংহভাগই ফড়িয়া থেকে শুরু করে খুচরা ব্যবসায়ী পর্যন্ত মধ্যস্বত্বভোগীদের পকেটে যাচ্ছে। এমন অবস্থায় এবার কৃষিপণ্যের উৎপাদক, পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে সর্বোচ্চ মুনাফা নির্ধারণ করে দিতে যাচ্ছে সরকার। কৃষি বিপণন অধিদপ্তর সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, কৃষিপণ্যে মুনাফা ক্ষেত্রে পণ্যভেদে উৎপাদন পর্যায়ে ৩০ থেকে ৪০ শতাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ১৫ থেকে ২০ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ মুনাফা করা যাবে। এমন বিধান রেখে সরকার কৃষিপণ্য বিপণন বিধিমালা-২০২১ বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে। কৃষি বিপণন আইন-২০১৮-এর ক্ষমতাবলে ওই বিধিমালা শিগগির গেজেট আকারে প্রকাশ হবে। আর গেজেট প্রকাশের দিনই তা কার্যকর হবে।
সূত্র জানায়, প্রকাশ হতে যাওয়া বিধিমালা অনুযায়ী খাদ্যশস্য, অর্থকরী ফসল, ডাল ও কালাই, মসলা (ধনিয়া, কালোজিরা, শুকনো মরিচ), ডিম, দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য, পান, সুপারি, ভূসি, ডাল, নারকেল, প্রক্রিয়াজাত পণ্য (চিড়া, মুড়ি, সুজি, সেমাই, আটা, ময়দা, কৃষিপণ্যের জুস, আচার, বেসন, চিপস ইত্যাদি) এবং মাছ (তাজা, শুকনো, লবণজাত ও হিমায়িত) উৎপাদক সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৩০ শতাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ২৫ শতাংশ মুনাফা করতে পারবে। তেলবীজ (রাই, সরিষা, তিল, তিশি, বাদাম, নারকেল, রেঢ়ি, সূর্যমুখী, সয়াবিন) উৎপাদক সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৩০ শতাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ৩০ শতাংশ; ইক্ষু ও গুড় উৎপাদক সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৩০ শতাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ১৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ৩০ শতাংশ, ফল উৎপাদক সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৩০ শতাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ২০ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ৩০ শতাংশ, ফুল (সব শুকনো ও কাঁচা, ক্যাকটাস, অর্কিড, পাতাবাহার) উৎপাদক সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৪০ শতাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ৩০ শতাংশ, শাকসবজি (আলুসহ সব শাকসবজি) উৎপাদক সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৪০ শতাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ২৫ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ৩০ শতাংশ, মসলা (পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ ও কাঁচা মরিচ) উৎপাদক সর্বোচ্চ পর্যায়ে ৪০ শতাংশ, পাইকারি পর্যায়ে ২০ শতাংশ এবং খুচরা পর্যায়ে ৩০ শতাংশ মুনাফা অর্জন করা যাবে।
এ বিষয়ে কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক (নীতি ও পরিকল্পনা) শাহানাজ বেগম নীনা জানান, কৃষিপণ্য বিপণন বিধিমালা প্রণয়নের সব কার্যক্রম কৃষি মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় তা আবার কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের পাঠিয়েছে। তা আবার কৃষি মন্ত্রণালয় হয়ে আইন মন্ত্রণালয়ে গেছে। আইন মন্ত্রণালয় থেকে সেটি গেজেট আকারে প্রকাশের জন্য বিজি প্রেসে পাঠানো হয়েছে। আর গেজেট প্রকাশ হলেই কৃষিপণ্য বিপণন বিধিমালা কার্যকর হবে। বিধিমালার আলোকে কৃষিপণ্যের জন্য নির্ধারিত বাজারে ব্যবসা করতে হলে লাইসেন্স নিতে হবে। পাইকারি ও খুচরা বিক্রেতা সবাইকে ওই লাইসেন্স গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি ব্যবসায়িক উদ্দেশ্যে গুদাম পরিচালনার জন্যও লাইসেন্সের প্রয়োজন হবে।