July 27, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Friday, June 24th, 2022, 8:12 pm

সাকিবের কাছে যে বিষয়টি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ

অনলাইন ডেস্ক :

ওয়েস্ট ইন্ডিজে সর্বশেষ ২০১৮ সালের সফরেও আশান্বিত করার মতো কিছু ছিল না বাংলাদেশের। তার ওপর সেন্ট লুসিয়ায় শেষবার খেলা টেস্টেও (২০১৪ সালে) ছিল না গৌরব করার মতো কিছু। তাই শুক্রবার শুরু হতে যাওয়া দ্বিতীয় টেস্টে ঘুরে ফিরে থাকছে সেই একই ‘চ্যালেঞ্জ’। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান অবশ্য সেই চ্যালেঞ্জটা নিতে বললেন সতীর্থদের। তিনি মনে করেন, ব্যাট কিংবা বল হাতে ম্যাচের প্রথম দুই ঘণ্টা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ তাদের জন্য। প্রথম টেস্টে ব্যাটিংয়ে বিপর্যয় ছিল বলে ভালো বোলিংয়েও মাথা তুলতে পারেনি সফরকারীরা। বরং দাপট দেখিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ প্রথম টেস্ট জিতে নিয়েছে ৭ উইকেটে। ফলে সিরিজ জিতে নিতে তারাই এখন ফেভারিট অবস্থানে। সাকিব তার পরেও যথেষ্ট আশাবাদী, ‘আমরা এই মুহূর্তে প্রথম দুই ঘণ্টায় মনোযোগ দিতে পারি, হোক সেটা বোলিং বা ব্যাটিংয়ে। সেটা ভালো হলে পরবর্তী পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া যাবে।’ সাকিবের মনে হয়েছে অ্যান্টিগার চেয়ে ভিন্ন উইকেট হবে সেন্ট লুসিয়ায়। বিশেষ করে বেশি ব্যাটিং সহায়ক মনে করছেন এখানকার উইকেট। তবে শুরুর চ্যালেঞ্জটাও মাথায় রাখছেন তিনি, ‘অ্যান্টিগার তুলনায় এখানে প্রথম দিনটা ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হবে। আমার মনে হয় পেসের সঙ্গে বাউন্স থাকবে। তবে কোনও ধরনের পার্শ্ব মুভমেন্ট পাওয়া যাবে না। অবশ্য মাঠে না নামা পর্যন্ত বলা কঠিন, পিচ কেমন আচরণ করবে। শুরুর ১৫ থেকে ২০ মিনিট পর বলা যাবে উইকেট কেমন আচরণ করছে।’ সাকিব আরও মনে করেন এই পিচ যেহেতু স্কিডি ও বাউন্সি হবে। তাই রানও আসবে প্রচুর, ‘সাধারণত স্কিডি ও বাউন্সি উইকেটে প্রচুর রান আসে। ম্যাচও এগোয় দ্রুত। ফলে দ্রুত রান তোলার সুযোগ থাকে। এ ক্ষেত্রে আমার মনে হয় হরাইজন্টাল ব্যাট শট (কাট অথবা পুল) সবচেয়ে বেশি কার্যকরী। এই ধরনের উইকেট নিউজিল্যান্ডে, অন্যান্য দেশেও দেখেছি। আমাদের ক্রিকেটাররাও যেহেতু এই ধরনের পিচে খেলে অভ্যস্ত। তাই আমার মনে হয় না কোনও সমস্যা হবে।’ ১-০ তে পিছিয়ে যাওয়ায় এই টেস্ট হারলেই হোয়াইটওয়াশ হবে বাংলাদেশ। সাকিব মনে করছেন, এই পিছিয়ে যাওয়া আলাদা করে তাদের তাতিয়ে দিচ্ছে, ‘শেষ তিনটা টেস্ট যদি দেখেন, তাহলে দেখবেন পেসের বিপক্ষে আমাদের দুর্বলতা। তার আগের দুই টেস্টে দুর্বলতা ছিল স্পিন। আসলে কথা হলো আমরা কঠিন কন্ডিশনে টিকে থাকতে ব্যর্থ হচ্ছি। ফলে ঘুরে দাঁড়ানোর এটা একটা সুযোগ ও চ্যালেঞ্জও। দেখা যাক আমরা কীভাবে সেটি উতরে যেতে পারি।’