October 6, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Tuesday, January 24th, 2023, 7:18 pm

সাতক্ষীরায় সাংবাদিককে তুলে নেয়ার ৭ ঘণ্টা পর থানায় সোপর্দ

সাতক্ষীরায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্য পরিচয়ে সাংবাদিককে তুলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ ওঠার সাত ঘণ্টা পর তাকে থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।

সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁকে দেবহাটা থানায় সোপর্দ করা হয়।

দেবহাটা থানা-পুলিশ সূত্র জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যা ৬টায় দেবহাটার খলিশাখালী সাতমরা এলাকা থেকে তাকেসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। রঘুনাথের বিরুদ্ধে নাশকতার ও চাঁদাবাজির অভিযোগে পৃথক দু’টি মামলা হয়েছে।

গ্রেপ্তার রঘুনাথের বাড়ি সাতক্ষীরার কালীগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে। তিনি সাতক্ষীরা শহরের লস্কারপাড়া এলাকার একটি ভাড়া বাড়িতে থাকেন। তিনি দীপ্ত টেলিভিশন ও বাংলা ’৭১ নামের একটি পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত আছেন।

গ্রেপ্তার অন্য দুইজন হলেন- উপজেলার ঢেবুখালী গ্রামের রেজাউল করিম ও চালতেতলা এলাকার লুৎফর রহমান।

দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ ওবায়দুল্লাহ জানান, রঘুনাথ খাঁসহ তিনজনের বিরুদ্ধে সোমবার নাশকতার অভিযোগে মামলা করেছেন দেবহাটা থানার উপপরিদর্শক লাল চাঁদ। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তার অন্য দু’জন হলেন উপজেলার ঢেবুখালী গ্রামের রেজাউল করিম ও চালতেতলা এলাকার লুৎফর রহমান।

এছাড়া একটি চাঁদাবাজির অভিযোগে রঘুনাথের বিরদ্ধে আরও একটি মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে বলে জানান তিনি।

এদিকে, সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁর অবিলম্বে মুক্তি দেয়ার দাবি জানিয়েছে মানবাধিকার সাংস্কৃতি ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান, বিশিষ্ট মানবাধিকারকর্মী এড. সুলতানা কামাল। তিনি এক বিবৃতিতে এই দাবি জানান।

সোমবার দুপুরে সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁকে সাদা পোশাকধারী কয়েকজন লোক ধরে নিয়ে যায়। সাতক্ষীরা শহরের বড় বাজার এলাকা থেকে তাকে একটি মটরসাইকেলে তুলে নিয়ে যাওয়া হয় বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়। এর পর থেকে তার সন্ধান পাওয়া যাচ্ছিল না। রাত ১১ টার দিকে পুলিশ সাংবাদিকদেরকে জানায় রঘুনাথ খাঁসহ তিন জনকে দেবহাটা থানায় একটি নাশকতা মালায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

রঘুনাথ খাঁর স্ত্রী সুপ্রিয়া রাণী খাঁ জানান, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পরিচয়ে সাদা পোশাকধারী কয়েক জন লোক তাকে সাতক্ষীরা শহরের বড় বাজার এলাকা থেকে ধরে নিয়ে যায়। খবর পেয়ে তিনি সাতক্ষীরা সদর থানাসহ বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ নেন। কিন্তু রাত ১১ টা পর্যন্ত কোথাও তার খোঁজ পাওয়া যায়নি। পুলিশও তার আটকের কথা স্বীকার করেনি। রাত ১১ টার পরে জানতে পারি দেবহাটা থানা পুলিশর হেফাজাতে তার স্বামী রয়েছে। একটি নাশকতার মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গত শনিবার গভীর রাতে একদল লোক তাদের সাতক্ষীরা শহরের লস্করপাড়াস্থ বাসায় এসে প্রথমে ডাকাডাকি করে। আমরা ভয়ে কোনো সাড়াশব্দ না দিলে পরে তারা দরজায় ধাক্কাধাক্কি করে চলে যায়।

—-ইউএনবি