October 6, 2024

The New Nation | Bangla Version

Bangladesh’s oldest English daily newspaper bangla online version

Monday, November 27th, 2023, 8:20 pm

‘সাত সপ্তাহ পর প্রথমবার নিরাপদে রাস্তায় হাঁটছি’

অনলাইন ডেস্ক :

ইসরায়েলে আচমকাই গত ৭ অক্টোবর একযুগে প্রায় ৫ হাজার রকেট ছুড়ে দেশটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা চুরমার করে দেয় ফিলিস্তিনের স্বাধানীতাকামী সংগঠন হামাস। ইসরায়েলের ইতিহাসে এমন নজিরবিহীন ঘটনা আগে কখনো ঘটেনি। জবাবে হামাসকে নির্মূল করার ঘোষণা দিয়ে গাজায় পাল্টা সামরিক অভিযান চালায় তারা। এতে এখন পর্যন্ত ১৪ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে যার মধ্যে ৪০ শতাংশই শিশু। ইসরায়েল-গাজা যুদ্ধের প্রায় ৭ মাস পেরিয়েছে। এতদিনে অবরুদ্ধ ফিলিস্তিনি ছিটমহল বিধ্বস্ত হয়েছে ইসরায়েলি সেনাদের গোলার আঘাতে।

গাজায় বসবাসকারী একজন সাহায্যকর্মী রোববার সিএনএনকে বলেছেন, যুদ্ধবিরতি মানুষকে রাস্তায় নিরাপদে চলাফেরা করার, তাদের পরিবারের সদস্যদের ও বাড়িঘরের খোঁজ করার এবং স্বজন হারানোদের শোক পালন করার সুযোগ দিয়েছে। নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের সাহায্যকর্মী ইউসেফ হামাশ আরও বলেন, ‘সাত সপ্তাহের পর এই প্রথম আমরা রাস্তায় নিরাপদে হাঁটতে পেরেছি, নিরাপদে ঘুমাতে পেরেছি, রাস্তায় থাকতে পেরেছি। আমাদের মনে এমন কোনো আতঙ্ক কারেনি যে এই বুঝি বোমা ফাটছে।’

চার দিনের যুদ্ধবিরতির কথা উল্লেখ করে তিনি আরও বলেছেন, ‘আমরা এই তিন দিন ধরে এখানে বেঁচে আছি এবং আগামীকাল আমাদের টিকে থাকার চতুর্থ দিন হতে যাচ্ছে। কিন্তু আমরা নিজেদের সেভাবেই প্রস্তুত রেখেছি এটা ভেবে যে পঞ্চম দিনে হয়তো আমরা মারাও যেতে পারি। গাজার বর্তমান অবস্থা এটাই।’ হামাশের দুটি সন্তান রয়েছে। তিনি বলেছেন, কয়েকদিন আগে তিনি পরিবার নিয়ে শীতকালে টিকে থাকার জন্য সহায়তার আবেদন চেয়েছিলেন এবং সেগুলো তিনি পেয়েছেনও। তবে সহায়তাগুলো চারদিনের জন্য যথেষ্ট নয়। তার মতে, এই অঞ্চলে ব্যাপক আকারে ত্রাণ সহায়তা দরকার। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে একটি স্থায়ী শান্তি চুক্তিতে পৌঁছানোর আহ্বানও জানিয়েছেন তিনি।