অনলাইন ডেস্ক :
ক্রিকেটের বাইরেও দেশের ক্রীড়াঙ্গনে নানা সংকটে প্রায়ই সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয় বিসিবি। এবার সাবেক জাতীয় ফুটবলার মোহাম্মদ মহসিনকে সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নিয়ন্তা সংস্থা। আর্থিক অনটন, শারীরিক অসুস্থতা ও জায়গা-জমি বেদখল হওয়া মিলিয়ে চরম দুর্দশায় দিন কাটছে মহসিনের। বাংলাদেশের সর্বকালের সেরা গোলরক্ষকদের একজন ও একসময় তুমুল জনপ্রিয় এই ফুটবলারের এমন অবস্থার খবর বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর বেশ আলোড়ন ওঠে দেশের ক্রীড়াঙ্গনে। তা নজরে আসে বিসিবির।
মহসিনের চিকিৎসার পাশাপাশি জমি উদ্ধারের ব্যাপারেও আইনি সহায়তা করা হবে বলে মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমে জানান বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরি। “বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড শুধু ক্রিকেটারদের জন্য নয়, যে কোনো খেলার যে সকল ক্রীড়াবিদ আছেন, তাদের যে কোনো অসুবিধায় পাশে থাকার চেষ্টা করে। মহসিন ভাইয়ের ব্যাপারটা এমনই। আমাদের বোর্ড সভাপতির নজরে বিষয়টা এসেছে। তিনি এর মধ্যেই আমাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন, উনাকে (মহসিন) সার্বিক সহযোগিতার ব্যাপারে।” “তার পরিবারের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতার ব্যাপারে সেভাবে বলা হয়নি।
আমাদের যেটা বলা হয়েছে, তার শারীরিক অবস্থা। সেক্ষেত্রে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উনাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে তার শারীরিক অবস্থার পরীক্ষা করা হবে। জায়গা-জমি সংক্রান্ত কিছু আইনি ঝামেলা আছে সে বিষয়ে এরইমধ্যে আমরা আমাদের আইনি পরামর্শককে বলেছি, তাদের কাগজ-পত্র দেখে প্রয়োজনীয় আইনগত সহযোগিতা প্রদান করতে।” মহসিনের খেলোয়াড়ি জীবনের কথা মনে করে কিছুটা স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন বিসিবির প্রধান নির্বাহী। সাবেক তারকা ফুটবলারের পাশে দাঁড়াতে পেরে নিজেকে সৌভাগ্যবান মানছেন তিনি। “মহসিন ভাই আমাদের জাতীয় দলের একজন খেলোয়াড় ছিলেন। আমার যতটুকু মনে পড়ে, ওই সময়ে তার অনেক বড় ফ্যানবেজ ছিল। এখনকার সময়ে যত মিডিয়া ফোকাস বা যাই হোক… আমরা তখন সাদাকালো টেলিভিশনে খেলা দেখতাম। তার মতো একজন খেলোয়াড়ের পাশে থাকতে পারা ব্যক্তিগতভাবেও আমার জন্য অন্যরকম অনুভূতি।” খেলোয়াড়ি জীবনে মহসিন ছিলেন গোলপোস্টের অতন্দ্র প্রহরী।
আশির দশকের শুরুর দিকে ঢাকার শীর্ষ ফুটবলে তার পথচলা শুরু হয়। আবাহনী, মোহামেডান ও মুক্তিযোদ্ধার মতো ক্লাবে ছিলেন ভরসার প্রতিশব্দ। ১০ বছরেরও বেশি সময় জাতীয় দলের গোলরক্ষক হিসেবে তিনি ছিলেন প্রথম পছন্দ। ছোটখাটো গড়নের হলেও তার স্কিল ও রিফ্লেক্স ছিল অসাধারণ। মাঠের ভেতরে-বাইরে দারুণ স্টাইলিশও ছিলেন। সেই সময়ের তরুণদের কাছে তিনি ছিলেন স্টাইল আইকন। নব্বই দশকের মাঝামাঝি ফুটবল ক্যারিয়ারের ইতি টেনে কানাডায় চলে যান তিনি। সেখানে একসময় খুব ভালো অবস্থা থাকলেও পরে পারিবারিক ও আর্থিক নানা কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হয়ে দেশে ফিরে আসেন ২০১৪ সালে। সব হারিয়ে প্রায় নিঃস অবস্থায় দিন কাটানোর পালায় একপর্যায়ে মানসিক ভারসাম্যও হারিয়ে ফেলেন তিনি।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা