অনলাইন ডেস্ক :
একদিকে, প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা ধরে রাখার অভিযানে দারুণ ছন্দে এগিয়ে চলেছে ম্যানচেস্টার সিটি। অন্যদিকে, মুকুট পুনরুদ্ধারের অভিযানে যেন নিজেদের হারিয়ে খুঁজছে লিভারপুল। পয়েন্ট টেবিলেও দল দুটির মাঝে এখন ব্যবধান বেড়ে গেছে অনেক। দুই দলের লড়াইয়ে কী হবে? ব্যবধান আরও বাড়বে নাকি কমাতে পারবে লিভারপুল। মৌসুমের শুরুতেও শক্তির বিচারে তাদের মাঝে ব্যবধান তেমন ছিল না। কিন্তু এবারের লিগের বয়স আড়াই মাস না হতেই পারফরম্যান্সের বিচারে সেই পার্থক্যটা চোখে পড়ার মতো। ৯ ম্যাচে ৭ জয় ও ২ ড্রয়ে ২৩ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে সিটি; আর্সেনালের চেয়ে ১ পয়েন্ট পিছিয়ে। আর লিভারপুল ৮ ম্যাচে মাত্র ২টিতে জিতে ১০ পয়েন্ট নিয়ে আছে দশম স্থানে। আসরে এখন পর্যন্ত অপরাজিত পেপ গুয়ার্দিওলার সিটি সবশেষ রাউন্ডে ঘরের মাঠে ৪-০ গোলে হারিয়েছে সাউথ্যাম্পটনকে। আর লিভারপুল ৩-২ গোলে হেরেছে আর্সেনালের মাঠে। সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে সবশেষ ম্যাচের ফল সিটির জন্য কিছুটা হতাশার; চ্যাম্পিয়ন্স লিগে কোপেনহেগেনের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে তারা। একই প্রতিযোগিতায় লিভারপুল তাদের সবশেষ ম্যাচে রেঞ্জার্সের মাঠে ৭-১ গোলের জয়োৎসব করেছে। গত তিন মৌসুমে শেষ দুইবারের লিগ চ্যাম্পিয়ন ও একবারের রানার্সআপ সিটির বিপক্ষে একবার করে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ হওয়া লিভারপুলের মুখোমুখি লড়াইয়ের আগে আলোচনায় উঠে আসছে এমন নানা সব পরিসংখ্যান। লিভারপুলের মাঠ অ্যানফিল্ডে রোববার বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হবে ম্যাচটি। হাইভোল্টেজ লড়াইটির আগে দেখে নেওয়া যাক এটি ঘিরে আরও কিছু রেকর্ড-পরিসংখ্যান।
* ২০১৬ সালে পেপ গুয়ার্দিওলা দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে সিটি চারটি লিগ শিরোপা জিতেছে, সেখানে এই সময়ে লিভারপুল জিতেছে মাত্র একটি। তবে এই ছয় বছরে ম্যাচ জয়ের হিসেবে এগিয়ে ‘অল রেড’ পরিচিত দলটি।
* ২০১৬-১৭ মৌসুমের শুরু থেকে এ পর্যন্ত কেবল এই দুই দলই ম্যাচ প্রতি গড়ে ২ এর বেশি পয়েন্ট পেয়েছে; গুয়ার্দিওলার সিটি ২.৩৬ আর ইয়ুর্গেন ক্লপের লিভারপুল ২.১৯ পয়েন্ট। এই তালিকার তিন নম্বরে আর্সেনাল (১.৯৪)।
* গুয়ার্দিওলা সিটির ডাগআউটে আসার পর থেকে এই সময়ে লিভারপুলের চেয়ে ৮০টি গোল বেশি করেছে এবং ২৪টি কম হজম করেছে।
* লিভারপুলের শুরুর একাদশের গড় বয়স ২৮ বছর-ক্লপ দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এটাই সবচেয়ে বেশি। ২০১৫-১৬ মৌসুমে তাদের গড় বয়স ছিল ২৫ বছরের একটু বেশি।
গত আসরে প্রথম আট ম্যাচে লিভারপুল যত পয়েন্ট পেয়েছিল, এবার তার চেয়ে ১২ পয়েন্ট কম পেয়েছে তারা। আর প্রথম ৯ ম্যাচে এবার সিটি গতবারের চেয়ে ৩ পয়েন্ট বেশি পেয়েছে।
* এই আট ম্যাচের ছয়টিতেই প্রথমে গোল হজম করে লিভারপুল; এই ম্যাচগুলোয় তারা জিততে পেরেছে কেবল একটি, ড্র তিনটি। গতবার প্রথমে পিছিয়ে পড়া শেষ ৬ ম্যাচের চারটিতে জিতেছিল তারা আর ড্র করেছিল বাকি দুটি।
* গুয়ার্দিওলার সিটি অ্যানফিল্ডে সবশেষ ৬ ম্যাচে সম্ভাব্য ১৮ পয়েন্টের মধ্যে কেবল ৫ পয়েন্ট পেয়েছে। তবে ২০১৯-২০ মৌসুমে লিভারপুল চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পর এখানে আর হারেনি সিটি (একটি ড্র ও একটি জয়)।
* প্রিমিয়ার লিগে গুয়ার্দিওলার সিটির বিপক্ষে চারবার হেরেছে লিভারপুল-এই সময়ে অন্য কোনো দলের বিপক্ষে এত বেশিবার হারেনি তারা।
আরও পড়ুন
কানপুর টেস্টে মুমিনুলের সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৩৩ রান
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফেরার বিয়য়ে যা বললেন তামিম
অক্টোবরে বাংলাদেশে সফরে আসছে দক্ষিণ আফ্রিকা